বাবুল হক, মালদহ: পণ চাইতে এসে শ্বশুরবাড়িতে শিকলবন্দি যুবক। ঘটনাটি জানাজানি হতেই শোরগোল মালদহের ইংরেজবাজারে। ৭২ ঘণ্টা পর সালিশি সভা শেষে অবশেষে মিলল মুক্তি।
জানা গিয়েছে, মালদহের ইংরেজবাজারের বাসিন্দা জুবাইদা বিবি। ২৪ দিন দিন আগে রতুয়া থানার সুলতানগঞ্জের বাসিন্দা আক্রম আলির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নাকি ৯০ হাজার টাকা পণ চেয়েছিলেন যুবক। কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে তা দিতে পারেনি কনেপক্ষ। বিয়ের দিন ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বাকি টাকার জন্য জুবাইদার উপর অত্যাচার শুরু করেন আক্রম।
[আরও পড়ুন: ‘ইভিএমে পদ্মে বোতাম টেপার সময়ই আলো নিভে যাচ্ছে’, বিস্ফোরক ধূপগুড়ির মিতালি রায়]
অভিযোগ, টাকার জন্য স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টাও করেন আক্রম। ২৯ আগস্ট কোনওকমে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে পালান জুবাইদা। তাতেও সমস্যা মেটেনি। এরপর টাকার জন্য অভিযুক্ত শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হয়। স্ত্রীকে গালিগালাজ করতে থাকে এবং মারধর করে। বাধ্য হয়ে বধূর বাপের বাড়ির সদস্যরা অভিযুক্তকে শিকলে বেঁধে ফেলেন। প্রায় ৭২ ঘণ্টা ওইভাবেই ছিলেন যুবক। তারপর গ্রামে সালিশি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানেই মিলেছে সমাধান সূত্র। মুক্ত হয়েছেন যুবক।