সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় বেনজির পদক্ষেপ। এবার আর্থিক তছরুপে ‘অভিযুক্ত’ হিসাবে ‘আম আদমি পার্টি’ (আপ)-র নাম চার্জশিটে রাখল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্টে অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেয় ইডি (ED)। সেখানে নাম রয়েছে আম আদমি পার্টি (AAP) ও দলের জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। উল্লেখ্য, সরাসরি দুর্নীতির মামলায় গোটা রাজনৈতিক দলকেই কাঠগড়ায় তুলে দেওয়ার এহেন ঘটনা এদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। বলে রাখা ভালো, আবগারি দুর্নীতির মামলায় কেজরির সঙ্গে দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া এবং আপের শীর্ষ নেতৃত্বের অনেককেই জড়িয়েছে ইডি। এ বার আবগারি দুর্নীতির টাকা দলের কাজে খরচ করার অভিযোগ এনে সেই বৃত্তে আপকেও নিয়ে এল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।
[আরও পড়ুন: ‘চার প্রজন্ম ধরে সংবিধান ধ্বংস করেছে’, ‘শেহজাদা’ গান্ধী পরিবারকে তোপ মোদির]
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এই ঘটনায় আপের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়তে চলেছে। তছরুপে দোষী প্রমাণিত হলে আদৌ দলটির অস্তিত্ব থাকবে কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে। অনেকেই আবার বলছে, ইডির মামলা দীর্ঘকাল চললেও ক্ষতি হবে কেজরির দলেরই। কারণ, 'তদন্তের স্বার্থে' দলীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা বা নেতা-কর্মীদের সমন পাঠিয়ে দলের সাংগঠনিক পরিকাঠামোকে দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা চলবেই। তাছাড়া, কেজরির দলের স্বীকৃতি কেড়ে নিতে নির্বাচন কমিশনের দরবারে জোর গলায় ধরনা দেবে বিজেপি। মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে আইনি শরেই 'আম আদমি' ভৃমি নেবে বলেই ধারণা অনেকের।
[আরও পড়ুন: ১০ বছরে কেন একবারও সাংবাদিক সম্মেলন করেননি? অবশেষে উত্তর দিলেন মোদি]
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ আবগারি মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার হন আপ সুপ্রিমো। তার পর ইডি (ED) হেফাজত থেকে তাঁকে পাঠানো হয় তিহাড় জেলে। সেখান থেকেই গ্রেপ্তারির বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। অবশেষে দিন কয়েক আগেই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এবং তিহাড় থেকে বেরিয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে নতুন উদ্যমে মোর্চা খুলে লড়াইয়ের ডাকও দিয়েছেন। সবমিলিয়ে, রাজধানীর রাস্তায় আপ বনাম বিজেপির ভোটযুদ্ধ বেশ প্রবলভাবেই নজরে পড়ছে।