রাজা দাস, বালুরঘাট: দিল্লিকে মডেল করে দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলায় বুথে বুথে ঘুরে সাধারণ মানুষের কাছে আম আদমি পার্টির (AAP) হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন দলীয় কর্মীরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার সবুজ সংকেত না আসলেও কাজ এগিয়ে রাখছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শাখা। বছর দেড়েক আগে জেলা কমিটি গঠনের মধ্যে দিয়ে এই জেলায় সাংগঠনিক কাজ শুরু করেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) দল। এর পর তাঁবু খাঁটিয়ে হাট ও বাজার ক্যাম্পেন চলে। পাশাপাশি পোস্টারিং, লিফলেট বিলি করেন দলীয় কর্মীরা।
বর্তমানে জেলায় দলীয় সদস্য সংখ্যা ২৫০০-র বেশি। ইতিমধ্যে কুশমন্ডি ব্লকে কার্যালয় খুলেছে আপের দক্ষিণ দিনাজপুর শাখা। কুশমন্ডি ও হরিরামপুর ব্লকের কিছু গ্রাম সংসদে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দলের। ওই দু’টি ব্লকের পাশাপাশি এবার বালুরঘাট ব্লকের কিছু বুথে দলের প্রচার করছেন নেতা-কর্মীরা। সেখানে তাঁরা দিল্লির আপ সরকারকে মডেল করে জোর প্রচার চালাচ্ছেন। দিল্লির শিক্ষা ব্যবস্থা, ২০০-র কম ইউনিট হলে বিদ্যুৎ বিল মকুব, ফরিস্তা প্রকল্প, মহল্লা ডাক্তারখানা ইত্যাদি প্রসঙ্গ তুলে ধরছেন। নেতৃত্ব দিচ্ছেন পার্টির জেলা সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় বসাক।
[আরও পড়ুন: ‘বিশ্বভারতী সোনার ডিম পাড়া হাঁস, সবাই স্বার্থে ব্যবহার করে’, ফের বিস্ফোরক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী]
মৃত্যুঞ্জয় বলেন, “দিল্লির সরকারি স্কুলে বিনামূল্যে, কিছু বেসরকারি স্কুলে অল্প পয়সায় ছাত্রছাত্রীদের পড়ার ব্যবস্থা করেছে আপ সরকার। এছাড়া নিদিষ্ট ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিলে ছাড়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মানুষের চিকিৎসার প্রয়োজনে প্রতি পাড়ায় বিনামূল্যে ডাক্তারখানা করা হয়েছে। যা ‘মহল্লা ডাক্তারখানা’ নামে পরিচিত। রাস্তায় রাস্তায় অসহায় মানুষের সহায়তায় ‘ফরিস্তা প্রকল্প’ করেছে আমাদের সরকার। এইসব প্রকল্পের কথাই জেলার মানুষের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: পরকীয়ায় বাধা দেওয়ার জের, অণ্ডকোষ টিপে স্বামীকে খুন স্ত্রীর!A
মৃত্যুঞ্জয় বাবুর কথায়, “কিছু গ্রাম সংসদে প্রার্থী দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আমরা। অন্তত ১০০ টি বুথে প্রচার অভিযান করার লক্ষ্য রয়েছে। আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটি এখনও এরাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার নির্দেশ দেয়নি। কিছুদিনের মধ্যে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার সব কাজ এগিয়ে রাখছি আমরা।”