সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ায় শামার জোসেফের (Shamar Joseph) রূপকথা। ২৭ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটল অবশেষে। অস্ট্রেলিয়ার (Australia) মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ(West Indies)। সেই জয়ের নেপথ্য নায়ক শামার জোসেফ।
মিচেল স্টার্কের দারুণ গতিতে আছড়ে পড়া ইয়র্কারে পায়ের আঙুলে চোট পেয়েছিলেন। ঠিকমতো হাঁটতে পারছিলেন না। স্ক্যান করার জন্য হাসপাতালে যেতে হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: আরও কত বছর চেন্নাইতে খেলবেন ধোনি? চলে এল বড় আপডেট]
সেই শামার জোসেফের আগুনে গতিতে ধ্বংস হয় অস্ট্রেলিয়া। টানা ১০ ওভার বল করলেন। গতি তুললেন ঘণ্টায় প্রায় দেড়শো কিমির উপরে। ইদানীং টানা স্পেল করতে দেখা যায় না ফাস্ট বোলারদের। অথচ ক্যারিবিয়ান তরুণ পেসার লাগাতার বল করে গেলেন। উইকেট তুললেন।
শামার জোসেফ প্রশংসা কুড়োলেন। অবাক করে দিলেন সবাইকে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন তারকা এবি ডিভিলিয়ার্স টুইট করেন, ”শামার জোসেফ রূপকথা। দেখাটাও দারুণ এক অভিজ্ঞতা। উইকিপিডিয়ায় ওর জীবন পড়ে আমার চোখ দিয়ে জল পড়েছে। এটুকু বলতে পারি শামারা জোসেফের জীবন প্রেরণা জোগানোর মতোই। ওর জীবন পড়ে দেখতে পারেন।”
শামারের জন্ম বারাকারা-য। গায়ানার বিচ্ছিন্ন একটি গ্রাম। সাড়ে তিনশো জন মানুষের বাস। দুটো মাত্র স্কুল রয়েছে গ্রামে। ২০১৮-য় ইন্টারনেট এসেছে সেখানে। কার্টলি অ্যামব্রোজ এবং ওয়ালশকে আদর্শ মেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলে জায়গা পেয়েছেন। প্রথম জীবনে একটি নির্মাণ স্থলে মজুরের কাজ করেছেন। নিরাপত্তা কর্মী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন শামার। বোলিং প্র্যাকটিস করতেন লেবু, পেয়ারা, খেজুর দিয়ে। সেই শামারের দাপটে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় দেখার পরে প্রায় কেঁদে ফেলেন ব্রায়ান লারা। শামার জোসেফে মোহিত ক্রিকেটবিশ্ব।