সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ফের কড়া ভাষায় মণিপুর সরকারকে ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য,’মণিপুরে আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। গত দু’মাসে সেরাজ্যে আইনের শাসন বলে কিছুই অবশিষ্ট নেই। জনতাকে রক্ষা করতে ব্যর্থ পুলিশ প্রশাসন।’
এদিন সুপ্রিম কোর্টে মণিপুর নিয়ে বেশ কয়েকটি মামলার শুনানি ছিল। মণিপুর (Manipur) সরকারের হয়ে এদিন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা জানান, সরকার ওই বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনায় যথেষ্ট সংবেদনশীল। এ নিয়ে হলফনামাও দেওয়া হয়েছে। জিরো এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। সাধারণ এফআইআরও দায়ের হয়েছে। কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেলের সেই যুক্তিতে বিশেষ সন্তুষ্ট হয়নি আদালত। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ,”মণিপুর পুলিশ এই তদন্তে গাছাড়া মনোভাব দেখিয়েছে। তদন্তের গতি অত্যন্ত মন্থর।”
[আরও পড়ুন: ঋণ দেবেন চিনা ব্যাংক কর্তা! রাজস্থানে বসে কলকাতায় ফাঁদ, তদন্তে লালবাজার]
সরকার এদিন জানিয়েছে, এ পর্যন্ত অশান্তির ঘটনায় ৬ হাজারের বেশি FIR দায়ের হয়েছে। জিরো এফআইআরগুলিকে রেগুলার এফআইআর হিসাবে ট্রান্সফার করা হচ্ছে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, ৬ হাজার এফআইআরের ভিত্তিতে মাত্র ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাতে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud) ক্ষুব্ধ হন। তিনি বলেন, “মনে হচ্ছে মণিপুর পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করতে অপারগ। অধিকাংশ এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্তে হয় অতি সামান্য অগ্রগতি হয়েছে, নয়তো কিছুই হয়নি। এতে প্রশাসন এবং আইনের শাসনের উপর থেকে আস্থা হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।” এরপরই মণিপুরের ডিজিপিকে তলব করেন প্রধান বিচারপতি। আগামী সোমবার সশরীরে শীর্ষ আদালতে হাজিরা দিয়ে সব প্রশ্নের জবাব দিতে হবে মণিপুরের ডিজিপিকে।
[আরও পড়ুন: ‘ছেড়ে দিন, বাড়ি যাব’, সামান্য সুস্থ হতেই চিকিৎসকদের কাছে ‘আবদার’ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর]
বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনায় এফআইআর দায়েরে দেরি নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত। এই ঘটনা-সহ আরও একটি গণধর্ষণের ঘটনায়, ঘটনার তারিখ থেকে শুরু করে FIR দায়েরের তারিখ, সাক্ষীদের বয়ান রেকর্ডের তারিখ পর্যন্ত পুরো টাইমলাইন জমা দিতে বলা হয়েছে।