shono
Advertisement

মালেগাঁও কাণ্ডে বিপাকে কর্নেল পুরোহিত, ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ

চার্জ গঠন হবে বিজেপি নেত্রী সাধ্বী প্রজ্ঞার বিরুদ্ধেও।
Posted: 04:01 PM Oct 30, 2018Updated: 04:34 PM Oct 30, 2018

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে নতুন করে বিপাকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল শ্রীকান্ত প্রসাদ পুরোহিত। কর্নেল পুরোহিত, সাধ্বী প্রজ্ঞা-সহ মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দিল বিশেষ এনআইএ আদালত। এনআইএ আদালত কর্নেল পুরোহিতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ মূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে চার্জ গঠনের নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ সিবিআই আদালত। ইউএপিএ ধারায় চার্জ গঠন করা হবে। 

Advertisement

[ছত্তিশগড়ে মাও হামলায় নিহত দূরদর্শনের চিত্রসাংবাদিক]

২০০৮ সালে হেমন্ত কারকরের নেতৃত্বে এই মামলার তদন্ত শুরু করে মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা। ওই বছরই মুম্বই হামলায় শহিদ হন তিনি। তারপর ২০১১ সালে মালেগাঁও বিস্ফোরণের তদন্ত ভার এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়া হয়। তদন্তকারীদের দাবি, ওই বিস্ফোরণের নেপথ্যে রয়েছেন কর্নেল পুরোহিত। শুধু তাই নয়, ‘অভিনব ভারত’ নামের একটি জঙ্গি সংগঠন তৈরি করে নাশকতা চালানোর অভিযোগও আনা হয় পুরোহিতের বিরুদ্ধে। যদিও সমস্তটাই ‘ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেন অভিযুক্ত। তাঁর বক্তব্য, জঙ্গি সংগঠনগুলির উপর নজর রাখতে ও হাঁড়ির খবর বের করে আনতেই তাঁকে নিযুক্ত করেছিল সেনা। অভিনব ভারতে যোগ দিয়ে তিনি সংগঠনটির গুপ্ত খবর বের করে আনতেন। কিন্তু গ্রেপ্তার হওয়ার ৯ বছর পরও তাঁর বিরুদ্ধে চার্জ গঠনে ব্যর্থ হয় এনআইএ। বাধ্য হয়ে গত বছর কর্নেল পুরোহিতকে জামিন দেয় সর্বোচ্চ আদালত। পুরোহিত অভিযোগ করেন তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।

[সেনার হাতে ‘নারায়ণী অস্ত্র’, শত্রু শিবির কাঁপাতে আসছে ‘ষড়ঙ্গ’]

এদিকে এনআইএ আদালতে তখনও চলছিল মামলা। আজ মামলার চার্জ গঠনের শুনানির উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে বম্বে হাই কোর্টেরও দ্বারস্থ হন পুরোহিত। কিন্তু সোমবার তাঁর আবেদন খারিজ করে বম্বে হাই কোর্ট। জানিয়ে দেয় চার্জ গঠনে কোনও বাধা নেই। তারপরই আজ পুরোহিতের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের সিদ্ধান্ত জানায় আদালত। যদিও পুরোহিতের জন্য স্বস্তির খবর, তাঁর করা রিভিউ পিটিশন গ্রহণ করেছে আদালত। এবং আগামী মাসে তার শুনানি হবে এনআইএ-র বিশেষ আদালতেই। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মুম্বই থেকে প্রায় ২৭০ কিমি দূরে মালেগাঁও কেঁপে ওঠে প্রচণ্ড বিস্ফোরণে। বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছিলেন সাতজন নিরীহ মানুষ, আহত হয়েছিলেন প্রায় শতাধিক। তারপরই তদন্তকারীদের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা সাধ্বী প্রজ্ঞা ও ভারতীয় সেনার কর্নেল পুরোহিত। ভারতে ‘হিন্দু সন্ত্রাসবাদ’ শাখা বিস্তার করছে এমনটাই অভিযোগ তুলেছিল তৎকালীন ইউপিএ সরকার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement