বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে সরব কংগ্রেস। যুক্তি ও তথ্যপ্রমাণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুরের (Anurag Thakur) বক্তব্য রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়ার দাবিতে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়েছে তারা। দুজনেই রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে মিথ্যা ও অর্ধসত্য তথ্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ শতাব্দীপ্রাচীন দলের।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় জবাব দিতে গিয়ে লোকসভায় (Lok Sabha 2024) কংগ্রেসের ভোটপ্রাপ্তি নিয়ে মোদি মিথ্যা তথ্য দেন বলে অভিযোগ। প্রধানন্ত্রী বলেন, ১৬টি রাজ্যে কংগ্রেসের ভোটপ্রাপ্তির হার কমেছে। পাল্টা অধ্যক্ষকে দেওয়া চিঠিতে কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, প্রধানমন্ত্রী ১৬টি রাজ্যে কংগ্রেসের ভোট কমেছে বলে উল্লেখ করেছেন। তার মধ্যে হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, তেলঙ্গানা ও কর্নাটকে ভোটের হার বেড়েছে বলে দাবি। এ ছাড়াও কংগ্রেসের (Congress) শাসনকালে সেনাকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট দেওয়া হত না বলে প্রধানমন্ত্রী যে দাবি করেছেন, তাও মিথ্যা। কারণ, কংগ্রেসের আমলে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট হয়তো কম ছিল, কিন্তু দেওয়া হত।
[আরও পড়ুন: ১০ জনপথে মুকেশ আম্বানি, হঠাৎ কেন সোনিয়ার বাড়িতে রিলায়েন্স কর্তা?]
এমনকী, পুলিশকেও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট দেওয়া হত। মুম্বইয়ে জঙ্গি হানা তার প্রমাণ। কংগ্রেসের সময় দেশে কোনও যুদ্ধবিমান ছিল না বলে প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। কংগ্রেসের যুক্তি, সে সময় মিগ ২৯, মিরাজ ২০০০, জাগুয়ার ও এসইউ ৩০ যুদ্ধবিমান সেনার কাছে ছিল। এ ছাড়াও ভারতের হাতে পরমাণু বোমা বহনকারী অগ্নি, পৃথ্বী, আকাশ, নাগ বা ত্রিশূলের মতো মিসাইল ছিল। প্রধানমন্ত্রী একদিনের জন্যও ছুটি নেননি বলে দাবি করেছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। কংগ্রেসের খোঁচা, প্রচার চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী কি একদিনও ছুটি নেননি। তাহলে সারাদিন ধরে প্রচার চালালেন কী করে।
[আরও পড়ুন: ১২ বছরের নাবালিকাকে মাদক খাইয়ে গণধর্ষণ! গর্ভবতী হায়দরাবাদের কিশোরী]
উল্লেখ্য, এর আগে প্রায় একই রকম অভিযোগ তুলে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে স্পিকারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের সাংসদ বাঁশুরি স্বরাজ দাবি করেছেন, রাহুল গান্ধী রাষ্ট্রপতির জবাবি ভাষণে যে তথ্য দিয়েছেন সেগুলিও মিথ্যা। তাঁরই পালটা হিসাবে এবার মোদিকে কাঠগড়ায় তুলল কংগ্রেস।