সন্দীপ্তা ভঞ্জ ও আকাশ মিশ্র: প্রথম ছবিতেই ছক্কা মারল পরিচালক ঈশান ঘোষের প্রথম ছবি ‘ঝিল্লি’। ৬৯ তম জাতীয় পুরস্কারে ‘স্পেশ্য়াল মেনসন’-এ জায়গা করে নিয়েছেন এই ছবির দুই অভিনেতা অরণ্য গুপ্ত, বিতান বিশ্বাস। আর জাতীয় পুরস্কারে এই বিশেষ সম্মান পাওয়ার খবর পেয়ে উচ্ছ্বসিত গোটা ঝিল্লি ছবির টিম।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয় ছবির পরিচালক ঈশান ঘোষকে। তাঁর কথায়, ”সত্য়িই দারুণ খবর। এখনও বিশ্বাস করে উঠতে পারছি না। তবে হ্যাঁ, ঝিল্লি ছবির নেপথ্য়ে যে পরিশ্রম ছিল, তা সম্মান পেল।”
পরিচালকের কাছ থেকেই খবরটা পান ‘ঝিল্লি’র গণেশ ওরফে অভিনেতা বিতান বিশ্বাস। খবর পেয়ে কিছুক্ষণ থমকে গিয়েছিলেন। ধাতস্ত হতে সময় লাগে তাঁর। প্রথম ছবিতেই এই সাফল্য়! সত্য়িই যেন স্বপ্নের মতো। সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে অরণ্য জানালেন, ঈশানই বলল, ”জাতীয় পুরস্কারে বিশেষ মেনসন আছে। আমি তো প্রথমে বিষয়টা বুঝতেই পারছিলাম না। তারপর গুগলে চেক করে দেখলাম। একটু ধাতস্ত হলাম। তারপর মাকে বললাম, তবে মাকে খুশি করা খুব কঠিন। মা শুনেই বলল, আরও ভাল করতে হবে। ছোটবেলায় স্কুলে একটা মেডেল পেয়েছিলাম। আজকে সেই দিনটার কথা মনে পড়ছে।’
[আরও পড়ুন: ‘চাঁদ চেনে না লাল, সবুজ, গেরুয়া’, চন্দ্রযানের সাফল্য নিয়ে ‘রাজনীতি’তে ক্ষুব্ধ ঋদ্ধি সেন]
বিতানের কথায়, ”শুধু আমি, অরণ্য় আর ঈশান নই। এই ছবি আমাদের পাঁচ বন্ধুর। ঈশানের হাতে ক্যামেরা, আর আমরা বড় মাঠে হেঁটে চলেছিল। এই ছবি পুরোটাই ঈশানের। ওর অধ্য়াবসায়টা দেখার মতো ছিল। শুধু শুটিংয়ের সময় নয়, অনেকদিন ঈশান ড্রাইভ করে শুটিং ফ্লোরে নিয়ে আসত আবার অনেক দিন টিফিন নিয়েও আসত বাড়ি থেকে। সেকথা গুলোই আজকে খুব মনে পড়ছে। আমার মনে হয় এই ছবিই আসল ইন্ডিপেন্ডেন্ট ছবি।”
একই সুর শোনা গেল ‘ঝিল্লি’র বকুল ওরফে অরণ্য় গুপ্তর গলাতেও। অরণ্যের কথায়, ”বিশ্বাস হচ্ছে না জাস্ট। এটা একটা সারপ্রাইজের মতো। আমরা একেবারেই এক্সপেক্ট করিনি। আমি খবরটা পেলাম ফ্যামিলি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে। বিশ্বাস করতেই অনেকটা সময় লাগে। তারপর বিতানকে ফোন করি। ওর সঙ্গে আলোচনা হয়। দারুণ লাগছে। শুটিংয়ের দিনগুলোর কথা মনে পড়ছে।”
[আরও পড়ুন: ‘চাঁদে চাওয়ালা’ কার্টুন বিতর্ক অতীত! চন্দ্রযান সাফল্যে করজোড়ে ইসরোকে কুর্নিশ প্রকাশ রাজের]