শম্পালী মৌলিক, অভিরূপ দাস: অসুস্থ বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায় (Madhabi Mukherjee)। তাঁকে ভরতি করা হয়েছে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, হঠাৎ করে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায় অভিনেত্রীর। রক্তে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের মাত্রা কমে গিয়েছে। সেই কারণেই অসুস্থবোধ করেন তিনি। দ্রুত তাঁকে ভরতি করা হয় হাসপাতালে। ইসিজি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। অভিনেত্রীর সামান্য শ্বাসকষ্ট রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। পারিবারিক সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, অসুস্থতা খুব একটা গুরুতর নয়। তবে দুর্বলতা রয়েছে। রুটিন চেক আপের জন্যই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অভিনেত্রীকে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে রবিবারই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
বহুদিন ধরেই অ্যানিমিয়ার সমস্যায় ভুগছিলেন মাধবী মুখোপাধ্যায়। চিকিৎসকরা খতিয়ে দেখছেন তাঁর অন্যান্য শারীরিক সমস্যা রয়েছে কিনা। আপাতত, চিকিৎসকদের কড়া নজরে রয়েছেন মাধবী মুখোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: কীভাবে তৈরি হল বলিউড? আমাজন প্রাইমে এবার সেই গল্প বলবেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়]
শিশুশিল্পী হিসেবে সিনেমায় অভিনয় শুরু। এরপর ঋত্বিক ঘটক, তপন সিনহা, সত্যজিৎ রায়ের মতো কিংবদন্তি পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। সিনেমায় অভিনয় করার আগে তাঁর আসল নাম ছিল মাধুরী। ১৯৬০ সালে মৃণাল সেনের ‘বাইশে শ্রাবণ’ ছবিতে অভিনয়ের সময়, প্রযোজক বিজয় চট্টোপাধ্যায় তাঁর নাম রাখেন মাধবী। সত্যজিৎ রায়ের একের পর এক ছবিতে অভিনয় করে নজর কাড়েন টলিউডের এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। সত্যজিৎ রায়ের ‘মহানগর’, ‘চারুলতা’, ‘কাপুরুষ’ ছবিতে অভিনয় করে গোটা দুনিয়ার সিনেমাপ্রেমীদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়িয়ে নেন মাধবী মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও, ‘ছদ্মবেশী’, ‘শঙ্খবেলা’, ‘গণদেবতা’, ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’, ‘স্ত্রীর পত্র’, মতো ছবিতেও নজর কাড়েন মাধবী। সিনেমার পাশাপাশি মঞ্চেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘আমি মাধবী’। সেই বইতে উঠে আসে অভিনেত্রীর জীবনের নানা অজানা কথা।