সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রুপোলি পর্দায় তখন আদিপুরুষ দেখতে ব্যস্ত সিনেমাহলে হাজির দর্শকরা। শো চলাকালীনই হঠাৎ জ্বলে উঠল লাইট। সঙ্গে চিলচিৎকার। হলের মধ্য়ে সোজা ঢুকে এলেন কয়েকজন। চোখে-মুখে রাগ। তাঁদের একটাই দাবি দেখানো যাবে না আদিপুরুষ। ঘটনাটি ঘটেছে, পালঘরের নালাসোপাড়ার একটি মাল্টিপ্লেক্সে। যেখানে হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা এসে হুমকি দিল সিনেমাহলের কর্তৃপক্ষদের। তাঁদের দাবি, ‘এই ছবি মানুষের কাছে ভুল ধারণার প্রচার করছে। যা চলতে দেওয়া যাবে না। শুধু তাই নয়, এই সংগঠনের সদস্যরা বলেন, নিজেদের গলা কেটে দেব, প্রাণ দিয়ে দেব। তবে এই সিনেমা চলতে দেওয়া যাবে না।’ সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে ভাইরাল হয়েছে এই অশান্তির ভিডিও।
‘আদিপুরুষ’-এ হনুমানের মুখে বাজারচলতি কথার সংলাপ শুনে দর্শকদের প্রায় মূর্চ্ছা যাওয়ার জোগাড়! যে হিন্দুপন্থীরা জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুলে সিনেমার প্রচারে নেমেছিলেন, তাঁরাও চটেছেন। ভারতীয় সংস্কৃতির ‘আদিপুরুষ’-এর এমন অত্যাধুনিক অবতার দেখে তাঁরাও রে-রে করে উঠেছেন! বিপাকে পড়ে নির্মাতাদের তরফে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে যে, খুব শিগগিরিই বিতর্কিত সংলাপ বদলে দেওয়া হবে। তবে এতে চিঁড়ে ভিজতে নারাজ! একটা সিনেমার জন্য এবার নেপালে বাজার খোয়াতে বসল ভারতীয় ছবি।
ইতিমধ্যেই কাঠমান্ডুর সমস্ত প্রেক্ষাগৃহে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ভারতীয় কোনও সিনেমাই যেন প্রদর্শিত না হয়। নেপালের মোট ১৭টি হল থেকে উঠে গিয়েছে ভারতীয় ছবি। সেখানকার প্রশাসনের কড়া নির্দেশ- ‘আদিপুরুষ’-এ সীতার জন্মভূমি নিয়ে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, সেটা যত দিন না বদলানো হচ্ছে, ততদিন সমস্ত ভারতীয় সিনেমা প্রদর্শন বন্ধ থাকবে।
[আরও পড়ুন: ব্রিটিশ পার্লামেন্ট থেকে বড় সম্মান, ‘কী করলাম?’ নিজের যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন করণ জোহরের!]
নেপালি সংস্কৃতির ওপর ‘আদিপুরুষ’-এর ভুল প্রভাব পড়বে বলেও আতঙ্কিত সেখানকার প্রশাসন। নেপালের জাতীয়তা, সাংস্কৃতিক ঐক্য ও জাতীয়তার অপূরণীয় ক্ষতি হবে বলে মত তাঁদের। অতঃপর নেপালে যে ওম রাউত, প্রভাস-কৃতীর ছবির পাশাপাশি অন্যান্য ভারতীয় সিনেমার বাজারও যে সাময়িকভাবে বড়সড় ধাক্কা খেল, তা বলাই বাহুল্য।
[আরও পড়ুন: ‘বড় অপমান! রামায়ণকে টেনেহিঁচড়ে কলিযুগে নামাল’, ‘আদিপুরুষ’কে তুলোধোনা মুকেশ খান্নার]