সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে (Shraddha Walkar) খুনের নৃশংসতায় চমকে গিয়েছিল গোটা দেশ। যদিও মঙ্গলবার লিভ ইন সঙ্গীকে খুনের অভিযোগ অস্বীকার করলেন আফতাব পুনাওয়ালা (Aftab Poonawala)। মঙ্গলবার দিল্লির আদালতে শ্রদ্ধা হত্যায় চার্জ গঠন করা হয়। খুনি হিসাবে অভিযুক্ত করা হয় আফতাবকেই। এরপরেই কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন আফতাব। জানিয়ে দেন, ‘খুনই করিনি’। তাঁর আইনজীবী মামলার শুনানির দাবি করেন।
গত বছর ১৮ মে শ্রদ্ধাকে গলা টিপে খুন করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল তাঁরই লিভ ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে। প্রেমিকার দেহ ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলেন তিনি। আরও অভিযোগ, ১৮ দিন ধরে আশপাশের জঙ্গলে ফেলে এসেছিলেন দেহাংশগুলি। গ্রেপ্তারির পর পুলিশকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়েছিল আফতাবকে। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছিল দেহাংশ। যা শ্রদ্ধারই স্পষ্ট হয় ফরেনসিক রিপোর্টে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধার বাবার ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহ করে তার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়েছিল জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া হাড়গোড়গুলিকে।
[আরও পড়ুন: বিধানসভা নির্বাচনের আগে ধাক্কা কংগ্রেসের, রাজস্থানের পুরনিগমে গেরুয়া ঝড়]
গত ২৪ জানুয়ারি শ্রদ্ধা হত্যায় ৬, ৬২৯ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। আফতাবের বিরুদ্ধে সংবিধানের ৩০২ (খুন) এবং ২০১ (প্রমাণ লোপাট) ধারায় মামলা করা হয়েছিল। মঙ্গলবার দিল্লির সাকেত আদালতে অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আফতাবকে জানান, খুন এবং অপরাধের প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যা ৩০২ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই বিষয়ে আফতাবের বক্তব্য জানতে চাইলে, তিনি খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেন। আফতাবের আইনজীবী জানান, এই বিষয়ে শুনানি চান তাঁরা। ১ জুন মামলায় পরবর্তী শুনানি হবে।
[আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রিজ থেকে পড়ে গেল যাত্রীবোঝাই বাস, মধ্যপ্রদেশে মৃত কমপক্ষে ২২]
উল্লেখ্য, মাঝে সন্তানের শেষকৃত্যের জন্য দেহাংশ চেয়েছিলেন শ্রদ্ধার বাবা। দিল্লি হাই কোর্টের কাছে আবেদন করেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, তিথি-নক্ষত্র মেনে ৮ মে পড়েছে শ্রদ্ধার বাৎসরিক শেষকৃত্যু। তার আগে মেয়ের দেহাংশ ফেরত চান। গতকাল ছিল ৮ মে।