সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আলোচনা চললেও চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত যে দ্রুত মেটার নয়, তা ফের একবার স্পষ্ট করে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। বিষয়টির জটিলতা স্পষ্ট করে তাঁর বক্তব্য, ১৯৬২'র ভারত-চিন যুদ্ধের পর লাদাখে এখন সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি।
[আরও পড়ুন: জিনপিং নয়, ৫০ শতাংশ চিনা নাগরিকের পছন্দ মোদি সরকার, দাবি সমীক্ষায়]
Rediff.com-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় লালফৌজের আগ্রাসন নিয়ে জয়শংকর বলেন, "১৯৬২'র ভারত-চিন যুদ্ধের পর এখন সবথেকে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ৪৫ বছর বাদে চিন সীমান্তে সংঘর্ষে আমরা কয়েকজন জওয়ানকে হারিয়েছি। সীমান্তের দু’পারে এখন যে সংখ্যায় সেনা মোতায়েন করা আছে, তাও অভুতপূর্ব।"
দুই পড়শি দেশের মধ্যে মজবুত সম্পর্ক গড়ে তুলতে হলে সবার আগে সীমান্তে শান্তি ফেরাতে হবে। এই কথায় জোর দিয়ে বিদেশমন্ত্রী সাফ বলেন, "বিগত তিন দশক ধরে পরিস্থিতির উপর নজর দিলে দেখা যাবে দেপসাং, চুমার, ডোকলাম-সহ একাধিকবার চিনা ফৌজের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে ভারতীয় সেনা। খুটিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, প্রতিটি বিরোধই ছিল ভিন্ন চরিত্রের। কিন্তু তাদের মধ্যে একটি মিল ছিল। কূটনৈতিক পথে প্রতিটি বিরোধই মিটিয়ে নেওয়া গিয়েছে। এবার লাদাখে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে দু'দেশের সেনা একে অপরের সামনে দাঁড়িয়ে।”
উল্লেখ্য, কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে আলোচনা চললেও পূর্ব লাদাখ থেকে এখনও সম্পূর্ণভাবে ফৌজ সরেনি চিন। বিশেষ করে, পূর্ব লাদাখে ফরওয়ার্ড পোস্ট ও নিজের সীমার ভিতরে সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন রেখেছে চিন। ওই অঞ্চলে মুখে সেনা প্রত্যাহারের কথা বললেও বাস্তবে তেমনটা করছে না বেজিং। বিশেষ করে গোগরা ও হটস্প্রিং এলাকায় এখনও ভারতীয় জমিতে দখল বজায় রেখেছে লালফৌজ। তাছাড়া, প্যাংগংয়ে লেকের ধারে ফিঙ্গার ৫ থেকে কিছুতেই হটতে চাইছে না চিনা সেনা। চার থেকে আট নম্বর ফিঙ্গার পয়েন্ট পর্যন্ত ভারতীয় সেনার নো-এন্ট্রি করে রেখেছে পিএলএ। টহলদারি চালাতে পারছে না ভারতীয় সেনা। দেপসাং উপত্যকায় দুই দেশের সৈন্যরা এখনও পর্যন্ত খুব কাছাকাছি রয়েছে।