অর্ণব আইচ: কেদার, বদ্রী ঘুরে শেষে পাঞ্জাবের অমৃতসরে খোঁজ মিলল নিখোঁজ প্রীতম বেরার। উচ্চ মাধ্যমিকে ৯০ শতাংশ নম্বর পাওয়া এবং আইআইটি প্রবেশিকাতে ভাল ফল করা মেধাবী ছাত্র প্রীতম। টানা পাঁচ মাস তল্লাশির পর তাঁকে উদ্ধার করে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ৷
[শহরে নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট-সহ ধৃত অসমের যুবক]
২৩ মে বাঁশদ্রোণী থানা এলাকার বাসিন্দা প্রীতম বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। রাত পর্যন্ত বাড়িতে না ফেরায় আত্মীয়স্বজনের কাছে খোঁজ নেওয়া শুরু করেন ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার বাবা প্রদীপ বেরা। কোথাও খোঁজ না পেয়ে পরেরদিন বাঁশদ্রোণী থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ১ জুন পুলিশের কাছে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রের বাবা। কিন্তু পুলিশও প্রীতমকে খুঁজে বের করার মতো কোনও সূত্রের সন্ধান পাচ্ছিল না। বাবার মন, তাই শান্ত থাকতে পারছিলেন না প্রদীপ বেরা৷ ৪ আগস্ট সকালে প্রীতমের সঙ্গে যে মোবাইল ছিল তাতে ফোন করেন তাঁর বাবা। ফোন বেজে ওঠে। অচেনা কন্ঠে হ্যালো শব্দও শুনতে পান প্রীতমের বাবা৷ তিনি জানান, কেদারনাথের রাস্তায় ওই ফোনটি কুড়িয়ে পেয়েছেন। প্রীতমের বাবা সঙ্গে সঙ্গেই বাঁশদ্রোণী থানায় বিষয়টি জানান। পরদিন ওই থানার অতিরিক্ত ওসিকে সঙ্গে নিয়ে প্রদীপবাবু পৌঁছন বদ্রীনাথে। সেখানে শীতল দাস এবং রবি দাস নামে একটি সাধুর ডেরা থেকে উদ্ধার হয় প্রীতমের সিম কার্ড, ব্যাগ, জামাকাপড় এবং আইআইটি প্রবেশিকার অ্যাডমিট কার্ড।
[গো-বলয়ের অভিজ্ঞ নেতাদের তালিমে রথযাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে বঙ্গ বিজেপি]
ওই দু’জনকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু তাদের জেরা করেও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি৷ পরে প্রীতমের হাতে লেখা এক ডায়েরি পায় পুলিশ৷ সেটিকে সূত্র হিসাবে কাজে লাগায় পুলিশ৷ সেই ডায়েরিতে উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন ট্রেক রুট এবং দুর্গম পাহাড়ি রাস্তার ম্যাপ খুঁজে পায় পুলিশ। ম্যাপগুলো প্রতিটাই হাতে আঁকা। এরপর ওই ম্যাপের সূত্র ধরেই তল্লাশি চলে। এছাড়াও ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বন্ধুদের পাঠানো মেসেজকেও সূত্র হিসাবে কাজে লাগান তদন্তকারীরা৷ শেষ পর্যন্ত শুক্রবার রাতে অমৃতসর মন্দিরের লাইব্রেরি থেকে ওই পড়ুয়ার হদিশ মেলে।
The post ৫ মাস পর অমৃতসর থেকে উদ্ধার কলকাতার কিশোর appeared first on Sangbad Pratidin.