ক্ষিরোদ ভট্টাচার্য: চার ঘণ্টা ধরে চলেছে আমতার মৃত ছাত্রনেতা আনিস খানের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত। তদন্তের স্বার্থে বিভিন্ন ভঙ্গিতে আনিসের দেহের ১১ টি এক্স-রে করা হয়েছে বলে খবর। ময়নাতদন্ত শেষে আনিসের দেহ (Anis Khan Death) নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আমতায়। আজই ফের কবরস্থ করা হবে দেহ।
সোমবার সকালে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য আনিস খানের দেহ তুলতে আমতায় যায় সিটের আধিকারিকরা। সেই সময় জেলা আদালতের বিচারক ঘটনাস্থলে না এলে কবর থেকে দেহ তোলা যাবে না, এমনটাই জানান আনিসের দাদা। নতুন করে তৈরি হয় জটিলতা। দেহ তোলা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। অবশেষে ঘটনাস্থলে পৌঁছন জেলা জাজ। তাঁর উপস্থিতিতে তোলা হয় আনিসের দেহ। এরপরই গ্রিন করিডর করে আনিসের দেহ আনা হয় কলকাতার এসএসকেএমে। ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ৩ টে বেজে ৯ মিনিটে দেহ পৌঁছয় হাসপাতালে। বিকেল চারটেয় শুরু হয় ময়নাতদন্ত।
[আরও পড়ুন: ‘নেতৃত্ব দিয়ে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ থামাক ভারত’, বইমেলা প্রাঙ্গণে বললেন মমতা]
এসএসকেএম হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন ও টক্সিকোলজির সহকারি অধ্যাপক ইন্দ্রানী দাস -সহ তিন চিকিৎসকের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করা হয়। প্রথমে এক্স-রে করা হয়। তারপর কাটাছেঁড়া করা হয় আনিসের দেহ। রাত ৮ টা বেজে ২৫ মিনিটে শেষ হয় ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া। জানা গিয়েছে, এরপরই আমতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে আনিসের দেহ। দ্বিতীয় রিপোর্ট আসার আগে, এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে রাজি হননি মৃতের ভাই সলমন খান।
ঠিক কী কী খতিয়ে দেখা হবে এই ময়নাতদন্তে? অভিযোগ করা হচ্ছে আনিসকে ছাদ থেকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিল। এমন ঘটনা ঘটলে পাজরের বা শরীরের অন্য হাড় ভেঙে যাওয়ার সম্ভবনা প্রবল। চিকিৎসকদের কাছে সিটের প্রশ্ন, আনিসের শরীরে কোনও হাড়া ভাঙা ছিল কি না। অথবা কোথাও চিড় ছিল কি না। এছাড়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে যুবককে আক্রমণ করা হয়েছে কি না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে, কারণ মৃত্যুর সময় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে আনিসের। এর পাশাপাশি দেখা হবে, আনিসের শরীরে অন্য কোনও রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছিল কি না। আর এই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই আনিস মৃত্যুর রহস্যভেদ সম্ভব হবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা।