সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধের আগুনে পুড়ছে মধ্যপ্রাচ্য। মঙ্গলবার ইজরায়েলের মাটিতে শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ইজরায়েল ও লেবাননে বিমান পরিষেবা বন্ধ করল একাধিক দেশ। যাত্রী সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে আগেই ইজরায়েলে বিমান পরিষেবা বন্ধ করেছিল ভারত-সহ বহু দেশ। সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইরানের জঙ্গি সংগঠন হেজবোল্লাকে সমূলে শেষ করতে লেবাননে লাগাতার হামলা চালিয়ে গিয়েছে ইজরায়েল। এমনকি ইরানের মাটিতেও চলেছে গুপ্ত হামলা। তেমনই এক অভিযানে হেজবোল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লার মৃত্যুর বদলা নিতে মঙ্গলবার ইজরায়েলে হামলা চালায় তেহরান। চরম উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ৩ দেশ ইজরায়েল, ইরান ও লেবাননে বিমান পরিষেবা চালাতে নারাজ লুফথানসা, কেএলএম, এমিরেটস ও সুইস-সহ বিশ্বের প্রধান এয়ারলাইন্সগুলি।
যে সংস্থাগুলি আপাতত বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেগুলি হল:
ডাচ এয়ারলাইন্স কেএলএম। গত ২৬ আগস্ট পর্যন্ত ইজরায়েলে বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এই সংস্থা। সেই মেয়াদ আরও বাড়িয়ে সংস্থার মুখপাত্র এলভিরা ভ্যান জানান, চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত তেল আভিবে বন্ধ রাখা হবে পরিষেবা। জার্মান বিমান সংস্থা লুফথানসা। এই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বেইরুট, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তেল আভিভ এবং ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত তেহরানের সমস্ত বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। এমনকি এই সময়কালে ওই সব দেশের আকাশসীমাও তারা এড়িয়ে চলবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুবাইয়ের এমিরেটস বুধবার এবং বৃহস্পতিবার ইরাক, ইরান এবং জর্ডান থেকে নির্ধারিত সমস্ত বাতিল করেছে। এবং ৪ অক্টোবর পর্যন্ত বেইরুটে বিমান পরিষেবায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অনির্দিষ্টকালের জন্য লেবাননে পরিষেবা বন্ধ করেছে ইজিপ্টএয়ার ফ্লাইট। একইভাবে ইরান এয়ার, ইরাকি এয়ারওয়েজ, বাহরাইন ভিত্তিক গালফ এয়ার এবং দোহা ভিত্তিক কাতার এয়ারওয়েজ পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না আসা পর্যন্ত বেইরুটের সমস্ত পরিষেবা বন্ধ করেছে। শারজাহ-ভিত্তিক এয়ার অ্যারাবিয়া, ফ্লাইদুবাইও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতালির আইটিএ এয়ারওয়েজ ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ৭ অক্টোবর পর্যন্ত তেল আভিভের পরিষেবা বন্ধ করেছে। ৪ অক্টোবর পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ করেছে ফ্রান্স।