সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জল্পনা সত্যি করে দিল্লির কংগ্রেস সভাপতির পদে ইস্তফা দিলেন অজয় মাকেন৷ বৃহস্পতিবার রাতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর কাছে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দেন বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা৷ ইতিমধ্যেই যা গ্রহণ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি৷ ইস্তফার কারণ হিসাবে নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছেন প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাকেন৷ তবে কংগ্রেস সূত্রে খবর, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের সাংগঠনিক কাজে মাকেনকে ব্যবহার করতে চান রাহুল গান্ধী এবং তাঁকে লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাতে ইচ্ছুক তিনি৷ সেই উদ্দেশ্যেই তাঁকে ইস্তফা দিতে বলেছে হাইকমান্ডই৷
[ঋতুমতী নন, তাও মহিলাকে সবরীমালায় ঢুকতে বাধা ]
বৃহস্পতিবার ইস্তফা দেওয়ার আগে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মাকেন৷ দুই নেতার মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক হয়৷ তারপর টুইট করে নিজের ইস্তফার বিষয়টি স্পষ্ট করেন অজয় মাকেন৷ টুইটে এই কংগ্রেস নেতা লেখেন, ‘‘২০১৫-র বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে আমি দিল্লি কংগ্রেসের প্রধান হিসাবে কাজ করেছি৷ রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস কর্মী ও সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে অনেক ভালবাসা ও সমর্থন পেয়েছি৷ আমি সত্যি কৃতজ্ঞ৷’’ তিনমাস আগেও একবার মাকেনের ইস্তফা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে৷ সেবার জল্পনাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছিল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব৷
[আর নয় দু’হাজারি নোট! ছাপা বন্ধের সিদ্ধান্ত রিজার্ভ ব্যাংকের]
২০১৫-য় দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টির কাছে বিরাট ব্যবধানে পরাজিত হয় কংগ্রেস৷ এরপরই দিল্লি কংগ্রেসের সভাপতির পদে বসানো হয় অজয় মাকেনকে৷ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট নিয়ে একাধিকবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধ বেধেছে মাকেনের৷ বরাবরই আপ-কংগ্রেস জোটের বিরোধিতা করে এসেছেন তিনি৷
The post দিল্লি কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা অজয় মাকেনের appeared first on Sangbad Pratidin.