সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের (Maharastra) রাজনীতিতে ফের ঠোক্কর খেল এনসিপির শরদ পওয়ার শিবির। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার রাহুল নারওয়েকারও কমিশনের নির্দেশ মনে করিয়ে অজি পওয়ারকেই আসল এনসিপির নেতা বলে উল্লেখ করলেন। সেই সঙ্গে ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদের বিধায়ক পদ বাতিল করার আর্জিও খারিজ করে দিলেন তিনি। এই সিদ্ধান্তে ‘মারাঠা স্ট্রংম্যান’ শরদ পওয়ারের অস্বস্তি যে বাড়ল তাতে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।
আগেই নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছিল, এনসিপির নাম ও চিহ্ন ব্যবহারের অধিকার থাকবে অজিত পওয়ার শিবিরের হাতে। প্রসঙ্গত, শরদ পওয়ারের পক্ষে রয়েছেন ১২ জন বিধায়ক। অন্যদিকে অজিতের পক্ষে আছেন ৪১ জন বিধায়ক। এবার মহারাষ্ট্র বিধানসভাতেও প্রত্যাশামতোই ‘অ্যাডভান্টেজ’ অজিত শিবিরই।
[আরও পড়ুন: ভারতরত্ন দিতে হবে সাইরাস পুনাওয়ালাকে, বন্ধুর জন্য গলা ফাটাচ্ছেন শরদ পাওয়ার]
প্রসঙ্গত, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এনসিপিতে গোষ্ঠী কোন্দল চরমে পৌঁছায়। সদলবলে শরদ পওয়ারের (Sharad Pawar) এনসিপি থেকে বেরিয়ে বিজেপির হাত ধরেন ভাইপো অজিত পওয়ার। মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভায় যোগ দেন এনসিপির ৯ বিধায়ক। অজিত নিজে উপমুখ্যমন্ত্রী হন। ক্ষুব্ধ শরদ অজিত শিবিরের একাধিক নেতাকে বরখাস্ত করেন। এর পর কমিশনের নির্দেশে ‘আসল’ এনসিপির (NCP) তকমা পান অজিতই। এদিকে শরদ পওয়ারের হাতে থাকা দলের অংশের নতুন নাম হয়েছে ‘ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি শরদচন্দ্র পওয়ার’। এই নামের দল নিয়েই এবার আসন্ন নির্বাচনে লড়বে তারা।