সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাসভও পারেনি। জিশান ও উসমানও পারল না। তবু ২৬/১১-এর (26/11 Mumbai Attack) ধাঁচে ভারতের উপর ফের একবার হামলার ছক সাজিয়েছিল পাকিস্তান (Pakistan)। এজন্য ভারতে এসেছিল ধৃত জঙ্গিরা। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, ডি কোম্পানির অন্যতম মালিক আনিস ইব্রাহিমের টাকায় জিশান ও উসমানরা প্রশিক্ষণ নিয়েছিল সিন্ধের এক খামারবাড়িতে।
প্রাথমিক জেরায় পুলিশের দাবি, এই দুই যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল পাক রেঞ্জারের দুই প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার হাজমা এবং জব্বর। পাক সেনার এই দুই প্রাক্তন অফিসার এখন আইএসআইয়ের হয়ে কাজ করে বলেই দাবি দিল্লি পুলিশের (Delhi Police)।
[আরও পড়ুন: আচমকা সাংসদপদ থেকে ইস্তফা তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা ঘোষের, বাড়ছে জল্পনা]
মঙ্গলবার তিন রাজ্যে অভিযান চালিয়ে মোট ছয় জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিন আদালতে তোলার আগে পর্যন্ত তাদের দফায় দফায় জেরা করা হয়। সেই জেরা থেকে পুলিশ দাবি করেছে, দু’মাস আগে মুম্বই শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে গিয়েছে মুলচাঁদ ও তার একসঙ্গী। বাণিজ্য নগরীর প্রতিটি অলি-গলি -সহ বেশ কয়েকটি পাঁচতারা রেস্তোরাঁর খবরাখবর তারা সংগ্রহ করে। তাদের এই গতিবিধি আঁচ করে গোয়েন্দাদের দাবি, উৎসবের মরশুমে জঙ্গিদের টার্গেট ছিল মুম্বই। আর সেই কারণে ২৬/১১ ধাঁচে হামলা হতে পারে বলেই আশঙ্কা ছিল গোয়েন্দাদের।
দিল্লি পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত জঙ্গিরা স্বীকার করেছে সিন্ধের ওই খামারবাড়িতে তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিয়েছে কমপক্ষে ১৫ থেকে ১৬ বাংলাভাষী। তাদের বেশির ভাগই বাংলাদেশের বাসিন্দা বলেই দাবি গোয়েন্দাদের। কিন্তু কীভাবে এই জঙ্গিদের পিছনে টাকা ঢেলেছিল ডি কোম্পানি। তদন্তকারীদের দাবি, হাওলার সাহায্যে জঙ্গিদের পিছনে লগ্নি করেছিল আনিস। এই কাজে তাকে সাহায্য করেছিল মুম্বইয়ের অন্ধকার জগতের বেশ কয়েকজন।
[আরও পড়ুন: টাইম ম্যাগাজিনে বিশ্বের প্রভাবশালীদের তালিকায় প্রথম একশোয় মোদির সঙ্গে মমতাও]
মূলত আনিসের উদ্যোগে এই জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল হাজমা এবং জব্বর। পাক সেনার প্রাক্তন এই দুই কর্তা লস্কর নেতা হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ বলেও জানা গিয়েছে। কারণ, ২৬/১১-র সময় হাফিজের নির্দেশেই কাসভদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল হাজমা এবং জব্বর। গোয়েন্দাদের দাবি, এই ছয় জঙ্গির গ্রেপ্তারে আগামী দিনে আরও তথ্য উঠে আসবে। তাদের দাবি, এই জঙ্গিদের পিছনে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জেএমবি কতটা সক্রিয়, এখন সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।