সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের তালিকায় মহম্মদ আলি জিন্নাকেও শামিল করে সম্প্রতি বিতর্কে জড়িয়েছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সপা নেতা অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। তাঁর এমন মন্তব্যকে ঘিরে শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। ইতিমধ্যেই ওই মন্তব্যকে ‘লজ্জাজনক’ বলে তোপ দাগেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। এদিকে সপা নেতা তথা সম্বলের সাংসদ শফিকুর রহমান বার্ককে অখিলেশের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে।
রবিবার হরদোইয়ের এক জনসভায় অখিলেশ মন্তব্য করেছিলেন, “সর্দার প্যাটেল, মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু এবং জিন্না একই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছিলেন এবং ব্যারিস্টার হয়েছিলেন। তাঁরা সকলেই পরে ভারতের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন। কখনও তাঁরা সংগ্রাম থেকে পিছিয়ে আসেননি।” অখিলেশের এই মন্তব্যেই ছড়ায় বিতর্ক। তাঁর সর্দার প্যাটেল, গান্ধীজি এবং নেহরুর সঙ্গে একই তালিকায় জিন্নার নাম নেওয়াকেই ‘টার্গেট’ করে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গোটা বিষয়টিকে ‘লজ্জাজনক’ বলে আখ্যা দেন।
[আরও পড়ুন: Petrol Price: টানা এক সপ্তাহ বাড়ল পেট্রলের মূল্য, দিল্লিতে ১১০ টাকার গণ্ডি পেরল পেট্রল, কলকাতায় কত?]
সোমবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, “সমাজবাদী পার্টির প্রধান গতকাল জিন্নাকে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের সঙ্গে তুলনা করেছেন। অত্যন্ত লজ্জাজনক। এটা আদপে তালিবানি মানসিকতা, যা বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। সর্দার প্যাটেল দেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। আর একইভাবে বর্তমানে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে চলেছে ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ হয়ে ওঠার লক্ষ্যে।” রাকেশ ত্রিপাঠীর মতো অন্য আরও কিছু বিজেপি নেতাও অখিলেশের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন।
এদিকে, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আবহে তালিবানকে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে যোগী আদিত্যনাথকে। তিনি বলেন, “আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশ শক্তিশালী হয়েছে। কোনও দেশ ভারতের দিকে চোখ তুলে তাকানোর সাহস করতে পারে না। তালিবান আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের পরিবেশকে অস্থির করে তুলেছে। তবে তালিবান জানে, যদি তারা আমাদের দেশের দিকে এক পা-ও এগোয়, তাহলে বিমান হামলার জন্য ভারত প্রস্তুত।”
[আরও পড়ুন: ‘আপনি চরিত্রহীন’! বোরখার বদলে জিনস পরায় চূড়ান্ত হেনস্তার শিকার মুসলিম তরুণী]
এর পাশাপাশি এসবিএসপি প্রধান প্রকাশ রাজভারের সম্পর্কে বলেছেন, “তাঁর চিন্তাধারা শুধুমাত্র নিজের পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ। বাবা মন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, এক ছেলে সাংসদ হতে আর অপরজন বিধান পরিষদের সদস্য হতে চেয়েছিলেন। যারা এমন ব্ল্যাকমেলিংয়ের রাজনীতি করে, তাদের দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়া উচিত।”
অখিলেশের মন্তব্যকে নিয়ে যোগীর প্রতিক্রিয়ার পালটা দিয়েছেন সাংসদ শফিকুর রহমান। তাঁর কথায়, ”এটা মোটেই তালিবানি মানসিকতা নয়।”