সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছর তিনি বলেছিলেন, ”৮০ বছর পর্যন্ত তিনি বাঁচলে তা মিরাকলই হবে।” পারকিনসন্স আক্রান্ত অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক অ্যালান বর্ডার অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ দেখতে এসে বলে গেলেন, ”পারকিনসন্সে আমি আক্রান্ত। তাছাড়া আমি ভালোই আছি। আমি এখনও গলফ খেলি। আমি হাঁটি। অন্যান্য কাজও করতে পারি। এখন আর ম্যারাথন দৌড়তে পারব না। কিন্তু অন্যান্য কাজগুলো পারব।”
বর্ডারের শরীরে পারকিনসন্স বাসা বেঁধেছে সেই ২০১৬ সালে। খবরটি এতদিন প্রকাশ করেননি। নিজের মধ্যেই চেপে রেখেছিলেন। অবশেষে প্রকাশ্যে আনেন স্বয়ং বর্ডারই। প্রাক্তন অজি অধিনায়ক বলেন, ”আমি পারকিনসন্স সম্পর্কে বেশি কিছু জানি না। কিন্তু রোগটার নাম বললে যেটা প্রথমে মনে আসে তা হল, মহম্মদ আলি কাঁপতে কাঁপতে অলিম্পিক মশাল জ্বালিয়েছিলেন।অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল।” বর্ডার আরও বলেন, ”আমার স্ত্রী জেন আমার সঙ্গেই রয়েছে। তবে অদ্ভুত একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। আমি এবং আমার স্ত্রী কিছু বুঝতেই পারিনি।”
[আরও পড়ুন: সাধারণতন্ত্র দিবসে বাড়িতে তেরঙ্গা উত্তোলন ধোনির, নারীশক্তির জয়গান মিতালির, দেখুন ভিডিও]
১৯৭৮ সালে বর্ডারের অভিষেক ঘটে। ১৯৮৪-৮৫ মরশুমে তিনি নেতৃত্বের আর্মব্যান্ড পান। বর্ডারের নেতৃত্বে ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপ জেতে অস্ট্রেলিয়া। টেস্ট ক্রিকেটে ১১ হাজার রানের মাইলফক ছোঁয়া প্রথম ব্যাটসম্যান ছিলেন অজি তারকাই। টানা ৯৩টি টেস্টে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৯৪ সালে ক্রিকেটকে বিদায় জানান তিনি।১৫৬টি টেস্টে ২৭টি শতরানের মালিক এই প্রাক্তন অধিনায়ক। সেই তিনিই বলেছিলেন, ”আরও একটা শতরান যে আমি পাব না, সেই ব্যাপার আমি নিশ্চিত।”
বর্ডার নামের এক সূর্য ধীরে ধীরে অস্তাচলে যাবেন একদিন। এই ৬৮-তে মৃত্যুর ডাক কি শুনে ফেলেছেন বর্ডার? হয়তো তাই। নাহলে কেন তিনি বলবেন, ”আমি শান্ত ভাবে শায়িত হব। ধীরে ধীরে ঢলে পড়ব মৃত্যুর কোলে।”