জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: স্ত্রীর মৃত্যুর পর শ্বশুর বাড়িতে থাকতে শুরু করেছিল পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জামাই। সেটাই হল কাল। শ্বশুরের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাঁর নথি জাল করে লক্ষাধিক টাকা লোন নিয়ে চম্পট দিল জামাই। অভিযোগ পেয়ে বুধবার তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ৷
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম উজ্জ্বলকুমার দাস৷ বাড়ি বনগাঁর বাগদার বানেশ্বরপুর এলাকায়। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে খবর,পেশায় ইঞ্জিনিয়ার বাগদার বাসিন্দা উজ্জ্বলের সঙ্গে ২০১৮ সালে বিয়ে হয় বনগাঁর খয়রামারি এলাকার ললিতমোহন বাবুর মেয়ের৷ দম্পতির একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ২০২১ সালে স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকে ছেলের সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতে থাকতে শুরু করেন অভিযুক্ত। শ্বশুরবাড়ি থেকেই কলকাতার একটি সংস্থায় কাজ করতেন তিনি। ললিতমোহন বাবু জানিয়েছেন, জামাই তাঁর আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও বিভিন্ন নথিপত্র চেয়েছিল৷ সরল মনে সেগুলো দিয়ে দিয়েছিলেন তিনি৷ পরবর্তীতে একটি সংস্থা তাকে ফোন করে ঋণ পরিশোধের কথা বলে।
[আরও পড়ুন: আরও বিপাকে জেলবন্দি মানিক, এবার মামলা ঠুকলেন প্রাক্তন ছাত্ররা]
জামাইকে লোলিতমোহনবাবু বিষয়টি খুলে বলতেই তিনি বিষয়টি দেখছেন বলে জানান। এরই মাঝে চলতি বছর ১৫ আগস্ট অভিযুক্ত উধাও হয়ে যায়। অভিযোগ ওঠে, শ্বশুরের নথিপত্র নিয়ে সই জাল করে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার লোন নিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে জুন মাসের ২৩ তারিখ ললিতমোহন মজুমদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ৷ বুধবার বিকেলে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে বনগাঁ সাইবার থানার পুলিশ। বনগাঁর খয়রামারি এলাকার বাসিন্দা শ্বশুর ললিতমোহন মজুমদারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠালে বিচারক ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।