অভিষেক চৌধুরী, কালনা: আদালতের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন ভুয়ো চাকরি প্রাপকদের নাম প্রকাশ করেছেন। শূন্য ওএমআর শিট জমা দিয়ে চাকরি প্রাপকদের তালিকায় নাম রয়েছে পূর্বস্থলী ২ ব্লকের পারুলিয়ার বাসিন্দা রিঙ্কু দেবনাথের। সম্ভবত সেই কারণেই স্কুল আসা বন্ধ করে দিলেন পূর্বস্থলীর রাজাপুর ভাতশালা ধীরেন্দ্রনাথ বিদ্যাপীঠের ওই শিক্ষিকা। এ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। হতবাক স্কুলের সহকর্মী, পড়ুয়া-সহ এলাকার মানুষজনও।
স্থানীয় ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, রিঙ্কু দেবনাথ রাজাপুর ভাতশালা ধীরেন্দ্রনাথ বিদ্যাপীঠ স্কুলে ২০১৯ সালে ইতিহাসের শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করেন। তারপর থেকেই তিনি নবম শ্রেণির ইতিহাস, ভূগোল পড়াতেন। সংস্কৃতও নাকি পড়াতেন। যদিও পড়ুয়াদের দাবি, ওনার কাছে ইতিহাসের কোনও বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সঙ্গে সঙ্গে কিছু জানাতে পারতেন না। পরের দিন বলবেন বলে তিনি জানাতেন। এই নিয়ে কয়েকজন সহকর্মীর সন্দেহ তৈরি হলেও সেইভাবে আর তেমন কিছু প্রকাশ্যে আসেনি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন চলার মধ্যেই আদালতের নির্দেশে ভুয়ো তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকায় সহকর্মী রিঙ্কু দেবনাথের নাম দেখে কপালে চোখ তুলেছেন সহকর্মীরাও।
[আরও পড়ুন: পিস্তল হাতে ফাঁকা ক্লাসরুমে দাঁড়িয়ে ছাত্র! সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ভাইরাল হতেই শোরগোল মুর্শিদাবাদে]
সহকর্মী কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকা বলেন, “ফাঁকা ওএমআর শিট অথচ চাকরিতে যোগদান করেছে। জীবনে এই প্রথমবার শুনলাম। ভাবতেও পারছি না ওনার সঙ্গে একসঙ্গে বসতাম, গল্প করতাম। খুবই খারাপ লাগছে।” শিক্ষিকার এমন কীর্তি ফাঁস হতেই ওই শিক্ষিকার সঙ্গে যেমন ফোনেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ভুয়ো শিক্ষকের তালিকায় নাম থাকা সহকর্মী ওই শিক্ষিকার বিষয়ে তেমন কোনও মন্তব্য করতে চাননি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সজল নন্দী। তিনি বলেন, “আমার খুবই খারাপ লাগছে ওই তালিকায় আমার স্কুলের একজন শিক্ষিকার নাম রয়েছএ। চাকরি করতে করতে চাকরি চলে যাচ্ছে খুব খারাপ লাগছে। বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকও কমে গেল।” তিনি এও বলেন, “গতকাল ও আজ উনি আসেননি। ওনার মন মেজাজ খারাপ বাড়ি থেকে এটুকুই জানিয়েছে।” যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে প্রধান শিক্ষককে এখনও কিছু জানানো হয়নি বলে তিনি জানান।