শুভঙ্কর বসু: এসএসসির (SSC) গ্রুপ ডি-র পর এবার গ্রুপ সি-র (Group C) নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ। ২০১৯ সালে ৪০০ ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন এক ‘ভুয়ো’ চাকরিপ্রার্থীকে হাতেনাতে ধরেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আপাতত তাঁর বেতন বন্ধের নির্দেশ দেয় আদালত।
২০১৯ সালের ১৮ মে-র পর সুপারিশের ভিত্তিতে এসএসসির (SSC) গ্রুপ-সি বিভাগে অনেকের নিয়োগ হয়। কিন্তু সেই নিয়োগেও বড় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে সেই শুনানি চলাকালীন এক মামলাকারীর নিয়োগপত্রে গরমিল ধরা পড়ে যায়। বিচারপতি দেখেন মেয়াদ উত্তীর্ণ সুপারিশপত্রে নিয়োগ হয়েছে তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরে কর্মরত ওই কর্মীর বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারপতি।
[আরও পড়ুন: ‘আশীর্বাদ’ হয়ে দাঁড়াতে পারে ওমিক্রন! কেন এমন দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা]
আদালতের নির্দেশ, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ৪০০ ভুয়ো নিয়োগের নথি আদালতে জমা করতে হবে মামলাকারীদের। মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে মামলার ‘পার্টি’ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। সেই নথি খতিয়ে দেখবে আদালত। তার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবে। বন্ধ হতে পারে ভুয়ো কর্মীদের বেতনও।
২০১৬ সালে গ্রুপ ডি কর্মী হিসাবে প্রায় ১৩ হাজার নিয়োগের সুপারিশ করে রাজ্য। সেইমতো পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ নেয় সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন (Central School Service Commission)। তারপর প্যানেল তৈরি করে। ২০১৯ সালে ওই প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। অভিযোগ, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রচুর নিয়োগ করেছে কমিশন। গ্রুপ ডি বিভাগে ২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশ সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরে মামলা করা হয় হাই কোর্টে। পরে দেখা যায় ২৫ জন নয়, প্রায় ৫০০ জনের নিয়োগে গরমিল রয়েছে। বৃহস্পতিবার এই তালিকা আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার নতুন নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।