সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিবিআই প্রধান থেকে দমকলের ডিজি, হোমগার্ড। সিবিআই প্রধান থেকে অপসারিত করা হয় তাঁকে। এবার ইস্তফা দিলেন অলোক ভার্মা। নতুন দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিলেন তিনি। ইস্তফা দিয়েই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন প্রাক্তন সিবিআই প্রধান। জানালেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অপসারণ করা হয়েছে তাঁকে। এদিকে মইন কুরেশি দুর্নীতি তদন্তে ঘুষ কাণ্ডে গ্রেপ্তার হতে পারেন রাকেশ আস্তানা। বিপাকে সিবিআইয়ের স্পেশ্যাল ডিরেক্টর।
[পুনর্বহালের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের অপসারিত সিবিআই প্রধান অলোক ভার্মা]
১৯৭৯ সালের আইপিএস ব্যাচ ছিলেন অলোক ভার্মা। সিবিআইয়ের স্পেশ্যাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্তানাকে প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এরপরই সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন অলোক ভার্মা। এ কে সিকরির এজলাশে সিবিআই প্রধান পদে ভার্মাকে ফেরানোর নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিটির একটি বৈঠক ডাকা হয়। সেই বৈঠকে সভাপতি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠক থেকে ঠিক হয়, ফের অপসারণ করা হবে অলোক ভার্মাকে। সেই মতো দমকলের ডিজি ও হোমগার্ডের দায়িত্বে পাঠানো হয় অলোক ভার্মাকে। ৩১ জানুয়ারি ছিল অবসর। তার আগে এদিনই পদত্যাগ করলেন তিনি।
[সিবিআই মামলায় সুপ্রিম ধাক্কা কেন্দ্রের, খারিজ অলোক ভার্মার অপসারণের সিদ্ধান্ত]
এই অপসারণের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি প্রাক্তন সিবিআই প্রধান। এদিন রাজনাথ সিংয়ের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন তিনি। ইস্তফা দেওয়ার সময় প্রাক্তন সিবিআই প্রধান বলেন, “গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গোটা বিষয় বদলে ফেলা হয়েছে। সিবিআই ডিরেক্টরের পদ থেকে সরাতেই এই কাজ করা হয়েছে।” এদিকে দিল্লি আদালতের নির্দেশে অস্বস্তিতে সিবিআইয়ের স্পেশ্যাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্তানা। আস্তানা ও অন্য যারা এই ঘুষ কাণ্ডে জড়িত, ১০ সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইকে এই বিষয়ে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। মইন কুরেশি দুর্নীতি তদন্তে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ছিল আস্তানার বিরুদ্ধে। ফোনের কথোপকথন এবং হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজও পাওয়া যায়। হায়দরাবাদের ব্যবসায়ী সতীশ কুমার রানা, রাকেশ আস্তানার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনেন।
The post অপসারণে ক্ষোভ, ইস্তফা দিয়েই কেন্দ্রকে তোপ অলোক ভার্মার appeared first on Sangbad Pratidin.