সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোশিমঠে (Joshimath) চোখ রাঙাচ্ছে ধস। একাধিক বাড়িতে ফাটলের জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পাহাড়ি জনপদ। এহেন পরিস্থিতিতে চিন্তা বাড়াচ্ছে বদ্রীনাথ (Badrinath)। জানা গিয়েছে, বদ্রীনাথের একাধিক রাস্তায় বিপজ্জনক ফাটল দেখা দিয়েছে। জাতীয় সড়কে প্রায় দুই মিটার গভীর ফাটল দেখা গিয়েছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, জাতীয় সড়ক ছাড়াও একাধিক জায়গার রাস্তায় ফাটল ধরেছে। তার প্রভাব পড়তে পারে চার ধাম যাত্রাতেও। যদিও সরকারি আধিকারিকদের তরফে এই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যাত্রা শুরুর আগেই রাস্তা মেরামত করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
চামোলি জেলা আধিকারিক হিমাংশু খুরানা বলেছেন, “জাতীয় সড়কে ফাটল ধরেছে ঠিকই। কিন্তু তা নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। মে মাসে তীর্থযাত্রা শুরু হওয়ার আগেই রাস্তা মেরামত করা হবে। যথা সময়েই যাত্রা শুরু হবে।” কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখে অন্য কথা। হাইওয়ের একাধিক জায়গায় গুরুতর ফাটল ধরেছে, তার প্রভাব পড়ছে বদ্রীনাথ সংলগ্ন একাধিক রাস্তায়। যোশিমঠের প্রভাব পড়ছে বদ্রীনাথেও, এমনটাই মত স্থানীয়দের। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে ধসে পড়তে পারে বদ্রীনাথও, আশঙ্কা তাঁদের। তবে চার ধাম যাত্রার আগেই সমস্ত রাস্তা মেরামত হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু ভোট টানতে স্কুটার যাত্রা বিজেপির, ঘুরবে বাংলার ১৩ লোকসভা কেন্দ্রে]
চার ধাম যাত্রীদের বিশ্রামের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা যোশিমঠ। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে যাত্রীরা আদৌ যোশিমঠে বিশ্রাম নিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বদ্রীনাথ মন্দিরের আধিকারিক অজেন্দ্র অজয় জানিয়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই চার ধাম যাত্রা নিয়ে বৈঠক হবে। ধসের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা যোশিমঠে তীর্থযাত্রীদের ভিড় বাড়ানো উচিত হবে কিনা, জরুরি বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে হেলাং বাইপাসের কাজ স্থগিত রয়েছে। ফলে যোশিমঠ এড়িয়ে বদ্রীনাথ পৌঁছনোর উপায় আপাতত বন্ধ বলেই মনে করা হচ্ছে।
যোশিমঠ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়ে গিয়েছে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি (Pushkar Singh Dhami) সাফাই দিয়ে বললেন, যোশিমঠ নিয়ে অযথা ভুয়ো তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। আসলে সেখানকার মানুষ নিরাপদেই সাধারণভাবে জীবনযাপন করছেন। নিয়ম মেনেই চার মাস পরে চার ধাম যাত্রা শুরু হবে। কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন ধামি। তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথা বলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।