সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ নিয়ে ক্রমেই সংঘাতের পথে হাঁটছে ভারত ও চিন। কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চললেও ১৯৬২’র যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নিয়ে লালফৌজের বিরুদ্ধে সামরিকভাবে প্রস্তুত থাকতে চাইছে ভারত। তাই এবার শক্তি বাড়িয়ে আরও স্পাইস ২০০০ বা ‘বালাকোট বোমা’ কিনতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা।
[আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রের নির্দেশ মেনেই নিজেদের বদলে নেব’, বাধ্যতার সুর TikTok ইন্ডিয়া প্রধানের গলায়]
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় (Pulwama) ভয়াবহ নাশকতা চালায় পাক মদতপুষ্ট জইশ জঙ্গিগোষ্ঠী৷ এর বদলা নিতেই ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে ঢুকে এয়ারস্ট্রাইক চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা৷ খাইবার পাখতুনখোয়ার বালাকোট-সহ মুজফ্ফরাবাদ ও চাকোতির তিনটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির নষ্ট করে দেয় ভারত৷ প্রথম অস্বীকার করলেও পরে এই এয়ারস্ট্রাইকের কথা স্বীকার করে পাকিস্তান (Pakistan)৷ বালাকোটের এই বিমানহানায় ব্যবহার হয়েছিল স্পাইস ২০০০ বোমা। তারপর থেকেই ‘বালাকোট বোমা’ নামেই পরিচিতি পায় ইজরায়েলের নির্মিত এই হাতিয়ারটি।
চলতি মাসেই সেনার তিন বাহিনীকেই ৫০০ কোটি টাকা প্রতি প্রকল্পে অস্ত্র কেনার ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। ফাস্ট ট্র্যাক পদ্ধতিতে, সহজ কথায় লালফিতের জট এড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত প্রতি প্রকল্পে হাতিয়ার কেনার জন্য সেনার তিন বাহিনীর সহ-প্রধানদের অনুমতি দিয়েছে সরকার। সেই বিশেষ অনুমতি কাজে লাগিয়েই এবার ইজরায়েলের কাছ থেকে আরও স্পাইস ২০০০ বোমা কিনতে চলেছে বায়ুসেনা। প্রায় ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত নিখুঁতভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম এই বোমা। মিরাজ- ২০০০ এর মতো যুদ্ধবিমান থেকে নিক্ষেপ করলে মজবুত বাঙ্কার মুহূর্তে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম এই গাইডেড বোমা। তাই লাদাখে চিনা বাঙ্কারগুলির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। বিশ্লেষকদের মতে, শুধু গালওয়ান উপত্যকা নয়, সুযোগ পেলে প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার লম্বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ফ্রন্ট খুলতে পারে চিন (China)। সেক্ষেত্রে উত্তরাখণ্ড থেকে শুরু করে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত লালফৌজের আগ্রাসন থামাতে প্রস্তুত থাকতে হবে ভারতীয় বাহিনীকে।
[আরও পড়ুন: ভারতীয় ভূখণ্ডে অব্যাহত চিনা আগ্রাসন, প্যাংগংয়ে বিশাল মানচিত্র আঁকল লালফৌজ]
The post এবার চিনা বাঙ্কার গুঁড়িয়ে দিতে আরও ‘বালাকোট বোমা’ কিনছে ভারত appeared first on Sangbad Pratidin.