সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৬ সালের মধ্যে দেশ থেকে চিরতরে নির্মূল করা হবে মাওবাদ। শনিবার 'মাওবাদের আখড়া' হিসেবে পরিচিত ছত্তিশগড়ের মাটিতে দাঁড়িয়ে এভাবেই সময়সীমা বেঁধে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জানালেন, 'সময় এসেছে বামপন্থী উগ্রবাদের সমস্যা শেষ করতে কড়া হাতে নির্দয়ভাবে শেষ প্রহার করার।'
অমিত শাহ বলেন, "আমি বিশ্বাস করি নকশালবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমরা ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে দেশকে 'মাওবাদী মুক্ত' বলে ঘোষণা করতে সক্ষম হব। এখন সময় এসেছে নির্মম কৌশল অবলম্বন করে উগ্রপন্থার উপর চূড়ান্ত আঘাত হানার।'' স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, "আমরা বিশ্বাস করি এই মাওবাদী সমস্যা দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আশার কথা এটাই যে একটি মাত্র রাজ্য ছাড়া বর্তমানে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ এমনকী মহারাষ্ট্রও মাওবাদী সমস্যা থেকে পুরোপুরি মুক্ত হয়েছে।"
[আরও পড়ুন: খুলে যাবে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যপথ! উপত্যকার নির্বাচনী ইস্তেহারে ঘোষণা মেহবুবার]
মাওবাদ শেষ করার লক্ষ্যে শনিবার ছত্তিশগড়ের রায়পুরে ৭টি রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ। এই বৈঠকে রাজ্যের ডিজিপি, আধা সামরিক বাহিনীর প্রধান এবং রাজ্য সরকারের সচিবদের ডাকা হয়েছিল। এই বৈঠক শেষে অমিত শাহ বলেন, "মাওবাদীদের আক্রমণের জন্য ১৭ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই সমস্যা সমূলে উপড়ে ফেলতে তৎপর হয়েছে। তাতে আমরা সফলও হয়েছি। যারা মাওবাদের সঙ্গে যুক্ত তাদের কাছে আমার আবেদন আপনারা অস্ত্র ত্যাগ করুন। দেশে নয়া যুগের সূচনা হয়েছে, এই উন্নয়ন যজ্ঞে আপনারাও অংশ নিন।"
[আরও পড়ুন: নয়া পেনশন নীতিতে সিলমোহর কেন্দ্রের, কেমন সুবিধা পাবেন অবসরপ্রাপ্তরা?]
পাশাপাশি তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরে এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, "গত বছরে দেশের মাওবাদী হামলার ঘটনা ৫৩ শতাংশ কমে গিয়েছে। মাওবাদী হামলায় নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যুর ঘটনাও ৭৩ শতাংশ কমে গিয়েছে। সাধারণ মানুষের মৃত্যুহারও কমেছে ৬৯ শতাংশ।"