সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ নিয়ে গোড়া থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। আঞ্চলিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্স থেকে শুরু করে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পর্যন্ত কাশ্মীরের ‘স্বকীয়তা রক্ষায়’ সরব হয়েছে। শনিবারও লোকসভায় কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ান সদনে কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। পালটা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
[আরও পড়ুন: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পে জোর, সেনাবাহিনীকে ১১৮টি অর্জুন ট্যাংক দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী]
এদিন সংসদে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ করেন অধীর চৌধুরী। কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, “উপত্যকায় ৩৭০ ধার রদ করার বিষয়ে যে স্বপ্ন আপনারা দেখিয়েছিলেন তা পূরণ করেননি। জম্মু ও কাশ্মীরে এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকার স্থানীয় ব্যবসা শেষ হয়ে গিয়েছে। আপনার কীভাবে পরিস্থিতি সামলাবেন তা বলুন। অমিত শাহ বলেছিলেন তিনি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ঘরে ফেরাবেন। আপনার কি সফল হয়েছেন? আপনারা গিলগিট বালটিস্তানও ফিরিয়ে আনবেন বলেছিলেন। সে যাক, আপাতত নিজের দেশেই যাঁরা শরণার্থী হয়ে পড়েছেন, যাঁরা কাশ্মীরে নিজেদের বাড়ি ফিরতে পারছেন না, তাঁদের কথা বলুন।”
এদিকে, কংগ্রেসের আক্রমণের পালটা জবাব দিয়ে বাজেট অধিবেশনে অমিত শাহর দাবি, আজ কাশ্মীর অনেকটাই শান্ত, এখন সেখানেই কিশোররা হাতে বন্দুক নিয়ে ঘুরে বেড়ায় না। কেন্দ্রের প্রকল্পগুলির সুবিধা পেয়েছে সেখানকার মানুষ। ৭টি নতুন মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে। কাশ্মীরে ল্যান্ডব্যাংক তৈরি হয়েছে। সেখানে শিল্প হবে। কর্মসংস্থান বাড়বে উপত্যকায়। লোকসভায় ‘Jammu & Kashmir Reorganisation (Amendment) Bill, 2021’ পেশ করে শাহ বলেন, “আপনারা ৭০ বছরের শাসনে কিছুই করেননি। আপনার কাশ্মীরে কাজ করলে আজ আমাদের প্রশ্ন করতেন না। আজ কাশ্মীরে বন্দুকের বদলে বাচ্চারা ব্যাট ধরছে। ৩৭০ ধারার কোনও প্রয়োজন দেশে নেই। কাশ্মীর কি ভারতের বাইরে? কাশ্মীর নিয়ে আমাদের আনা বিল নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বিরোধিরা। তারা বলছে, এই বিলটি পাশ হলে জম্মু ও কাশ্মীর কোনওদিন রাজ্যের মর্যাদা পাবে না। এটা একেবারেই ভুল। এই বিলে তেমন কথা কোথাও নেই। সময় হলে কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। বিরোধীরা ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করছে।” উল্লেখ্য, কাশ্মীর নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ৩৭০ ধারা রদ হলেও আপাতত কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ঘরে ফেরার স্বপ্ন এখনই পূরণ হচ্ছে না।