দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার প্রৌঢ় দম্পতির দেহ। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ক্যানিং থানার দিঘিরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। খুন নাকি আত্মহত্যা করেছেন ওই দম্পতি, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
সত্তরোর্ধ্ব রঞ্জিত চক্রবর্তী এবং বছর সাতষট্টির স্ত্রী কবিতা চক্রবর্তী বাড়িতে দুজন থাকতেন। তাঁদের দুই ছেলে বাইরে চাকরি করেন। রঞ্জিত চক্রবর্তী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। তবে বর্তমানে বিভিন্ন বাড়িতে পুজো করতেন। প্রতিবেশীরা জানান, বড় ছেলে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বনগাঁতে সরকারি চাকরি করেন। দুদিন ধরে বাবা-মার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। একটা সময় পর মোবাইল ফোন সুইচড অফ হয়ে যায়। সোমবার বাড়ি ফেরেন রঞ্জিত। বাড়ির সামনে পৌঁছে দেখেন ভিতর থেকে দরজা বন্ধ। গেটেও তালা লাগানো ভিতর থেকে। অনেক ডাকাডাকির পর সাড়া পাওয়া যায়নি। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে চমকে যান। দেখেন দেহ দুটি পড়ে আছে ঘরের মধ্যেই।
[আরও পড়ুন: ফেসবুক বান্ধবীর টাকা-গয়না হাতিয়ে হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ! মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার যুবক]
রঞ্জিত চক্রবর্তীর দেহ পড়েছিল বিছানার উপরে। অন্যদিকে মহিলার দেহটি ছিল ঘরের মেঝেতে। রঞ্জিত চক্রবর্তীর দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। স্ত্রীর দেহ ক্ষতচিহ্নে ভরা। মুখ এবং নাক দিয়ে রক্তপাত হয়েছে, সে প্রমাণও স্পষ্ট। খবর দেওয়া হয় ক্যানিং থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ দুটি উদ্ধার করে। পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। ঘটনা তদন্ত শুরু করে পুলিশ। খুন না আত্মহত্যা তা এখনও জানা যায়নি। বৃদ্ধার শরীরে যে আঘাতের চিহ্ন আছে তা পড়ে গিয়েও হতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।