সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেনা আবাসে নাবালিকাকে একাধিকবার ধর্ষণ। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে কিশোরী। তারপরই জানাজানি হয় গোটা ঘটনা। সিকিমের (Sikkim) রংপোর ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত আইটিবিপি জওয়ান। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আরও এক নাবালককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বছর তেরোর ওই নির্যাতিতার মায়ের দাবি, আইটিবিপি জওয়ান রংপোয় রাজভবনের উইন্টার ক্যাম্পে থাকত। গত এপ্রিল মাস থেকে ওই সেনা আবাসে ডেকে একাধিকবার ধর্ষণ করে তাকে। ভয়ে কাউকে কিছু জানায়নি কিশোরী। বারবার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সে। কিছুটা অসুস্থও হয়ে যায়। তারপরই খোঁজখবর নিয়ে ধর্ষণের কথা জানতে পারে কিশোরীর মা। এছাড়া এলাকার এক নাবালকও তাকে যৌন হেনস্তা করে বলেই অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: প্রেমিকের সঙ্গে পলাতক মা, ফের বিয়ে করতে পারেন বাবা, আতঙ্কে আত্মঘাতী ৯ বছরের বালক]
নিগৃহীতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই আইটিবিপি জওয়ানকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের জালে ধরা পড়েছে ওই নাবালকও। ধৃত আইটিবিপি জওয়ান (ITBP Jawan) উত্তরাখণ্ডের পিথরোগড়ের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনের ৪ এবং ৬ নম্বর ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ধৃত নাবালকের সঙ্গে ওই আইটিবিপি জওয়ানের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে।
এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্নের ভিড়। আইটিবিপি জওয়ানকে কি সে আগে থেকে চিনত নাকি একেবারেই অপরিচিত? যদি অপরিচিতই হয় তবে কেন ওই কিশোরী সেনা আবাসে যেত? ধর্ষণের পর কি প্রাণনাশের হুমকি দিত জওয়ান? সে কারণেই কি মুখে কুলুপ আঁটতে বাধ্য হয়েছিল সে? উত্তরের খোঁজে তদন্তকারীরা। তবে সেনা আবাসেই ধর্ষণের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তাব্যবস্থার দিকে যে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন উঠছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আইটিবিপি জওয়ানই যদি ধর্ষণে অভিযুক্ত হয় তবে মহিলারা কোথায় সুরক্ষিত, সে প্রশ্নও উঠছে।