স্টাফ রিপোর্টার: এএফসির জন্য শিবির কলকাতায় হবে না মালদ্বীপ, এখনও ঠিক করতে পারেনি এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে ২৪ অথবা ২৫ এপ্রিলের মধ্যে কলকাতায় তিনি চলে আসছেন বলে জানালেন সবুজ-মেরুন কোচ হাবাস। তবে এই চলে আসার পাশে সামান্য হলেও একটা ছোট প্রশ্ন চিহ্ন থেকে যাচ্ছে। যা নিয়ে খোদ সন্দেহ তৈরি হয়েছে হাবাসের মনেই। যেভাবে করোনার প্রকোপ বেড়ে চলেছে, তাতে ২৫ এপ্রিল কলকাতায় পা দেওয়া সম্ভব কি না, জানেন না স্প্যানিশ কোচ। যদি মারাত্মক কিছু সমস্যা না হয়, তাহলে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে নিশ্চিত ভাবেই তিনি কলকাতায় পা দিচ্ছেন।
করোনার কথা ভেবে এএফসি ম্যাচের আগে মালদ্বীপেই শিবির করতে চেয়েছিলেন হাবাস। সেই অনুযায়ী এএফসি এবং মালদ্বীপ ফুটবল ফেডারেশন উভয়ের কাছেই শিবির করার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত এএফসি কিংবা মালদ্বীপ ফুটবল ফেডারেশন, কারও থেকেই সম্মতির কোনও চিঠি এসে পৌঁছয়নি। ফলে কলকাতায় আসার দিন ঠিক করে ফেললেও হাবাস এখনও জানেন না, অনেক আগেই পরিকল্পনা করে ফেলা ২৬ এপ্রিল থেকে শিবির শুরু করার কথা থাকলেও তা কোথায় হবে। মালদ্বীপে একান্তই যদি শিবির করার অনুমতি না পাওয়া যায়, তাহলে শিবির হবে কলকাতায়, নাহলে গোয়ায়। সেই সময় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে করোনা পরিস্থিতি কোথায় ভাল থাকবে। সেই বুঝেই শিবির কোথায় করা হবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের উপর নিষেধাজ্ঞা ফিফার, অথৈ জলে ফুটবলাররা]
এএফসি কাপ (AFC Cup) খেলার সময় কমাতে হবে বিদেশি ফুটবলারের সংখ্যা। আইএসএলে পাঁচজন বিদেশি ফুটবলার নিয়ে খেলানো সম্ভব হলেও এএফসিতে খেলানো যাবে চারজন বিদেশি। তারমধ্যে একজনকে অবশ্যই এশিয়ান কোটার করতেই হবে। সেভাবেই আইএসএলে খেলা বিদেশি ফুটবলারদের মধ্য থেকে কাদের ডাকা হবে মোটামুটি একটা চিত্র তৈরি করে ফেলেছেন হাবাস। যদিও ঠিক হয়েছে, সোমবার টিম ম্যানেজমেন্টের হাতে এএফসির জন্য ফুটবলারদের তালিকা তুলে দেবেন স্প্যানিশ কোচ। তবুও যা শোনা যাচ্ছে, তাতে জাভি হার্নান্ডেজ আর এডু গার্সিয়া বাদ পড়তে চলেছেন এএফসির তালিকা থেকে। দলে থাকবেন সম্ভবত রয় কৃষ্ণা, তিরি, কার্ল ম্যাক হিউগ এবং এশিয়ান কোটায় ডেভিড উইলিয়ামস।
[আরও পড়ুন: বার্সাতেই কেরিয়ার শেষ করতে রাজি মেসি! ক্লাবকে দিলেন চার শর্ত]
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি যেহেতু আইএসএল চ্যাম্পিয়নশিপটাও হাতছাড়া করতে হয়েছে, এবার তাই এএফসি নিয়ে মারাত্মক সিরিয়াস হাবাস (Antonio López Habas)। চাইছেন, গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে যেতে। সেই কারণেই অনেক আগের থেকেই পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছেন তিনি।