ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) সঙ্গে শতাব্দী রায়ের সম্পর্কের সমীকরণ বারবার আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। ভোটের মুখে শতাব্দী রায়ের (Satabdi Roy) সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্বের কারণ হিসেবেও উঠে এসেছিল অনুব্রত মণ্ডলের নাম। রবিবার সেই অনুব্রতর সঙ্গেই বৈঠক করলেন শতাব্দী। প্রায় তিনবছর পর মুখোমুখি হলেন দু’জন। শুধু বৈঠকই নয়, বেশ খোশ মেজাজে দেখা গেল তাঁদের।
ভোটের আগে হুঁশিয়ারি দিয়ে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি বলেছিলেন, “দলকে ভোটে জেতাতে না পারলে পদ থেকে সরে যেতে হবে।” রবিবার জেলা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হল। যে সব বুথ ও অঞ্চলে তৃণমূল বিজেপির (BJP) কাছে হেরেছে, সেই সব বুথ এবং অঞ্চল সভাপতিদের সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি পঞ্চায়েত প্রধানদেরও সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল। একইভাবে পুরসভার যে সব ওয়ার্ডে তৃণমূল হেরেছে সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সরানোর পাশাপাশি ব্লক সভাপতিদের স্থানীয় বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ দশ বছরে এই প্রথম বীরভূমে (Birbhum) তৃণমূলের সংগঠনের এত বড় পরিবর্তন।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে নিম্নমুখী মৃত্যু, দৈনিক করোনা সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা]
এই বিষয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “সংগঠনই দলের শেষ কথা। দল করতে হলে দলকে জেতাতে হবে, পদ আঁকড়ে ধরে থাকলে হবে না। মাঠে নেমে লড়াই করতে হবে। আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই।” এদিকে এদিন প্রায় তিন বছর পর জেলা তৃণমূল ভবনে বৈঠকে মুখোমুখি হলেন শতাব্দী-অনুব্রত। শেষ লোকসভা নির্বাচনের আগে একবার বৈঠকে দেখা গিয়েছিল শতাব্দীকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, তৃণমূলের জেলা কমিটির এই বৈঠকটি আসলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য আয়োজিত। সেই পরিকল্পনা মাথায় রেখেই এই বৈঠকে কেবল সাংসদ-বিধায়করা নন, উপস্থিত ছিলেন ব্লক সভাপতি থেকে শুরু করে বুথ স্তরের নেতৃত্বও। এদিন অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে শতাব্দী রায় বলেন, “সব সময় সম্পর্ক ভাল নয় বলে আসা হয়নি, তা নয়। অনেক সময় কাজের জন্য থাকতে পারিনি। আজ আমার কাজ ছিল না তাই চলে এসেছি।” রদবদল প্রসঙ্গে শতাব্দী রায় বলেন, “জেলা জুড়ে নেতৃত্বে একাধিক পরিবর্তন করা হয়েছে। যেখানে দল বারবার হারবে, সেখানে যিনি নেতৃত্বে আছেন তাঁকে রাখা যেতে পারে না। সব রিপোর্ট নিয়ে এই পরিবর্তন।