ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: বঙ্গে ভোট ঘোষণার পরদিন থেকেই তৃণমূলের দাপুটে নেতা তথা বীরভূমের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) উপর নজরদরি শুরু হয়ে গেল নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) । তাঁর সভা, ভাষণের ছবি ও রেকর্ডিং করা হচ্ছে। শনিবার বোলপুরের সভা থেকেই সেই নজরদারি শুরু হল। নজরদারির জন্য বোলপুরে ইতিমধ্যেই কমিশনের তরফে ২ প্রতিনিধি অনুব্রতর সভার ছবি তুলে রাখছেন। এই প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া, ”ওদের দেখে ভাল লাগছে। আসছে, আরও আসুক। দুটো লোকে কী হবে? আমি সামনে এক কথা বলি, পিছনে তো অন্য কথা বলব, সাইডে অন্য কথা বলব। দশটা ক্যামেরা দিতে হবে।”
শনিবার বোলপুরে কোয়াক ডাক্তারদের নিয়ে কর্মী সম্মেলন করেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই সভা থেকেই অনুব্রত মণ্ডল বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ”যদি আমি কিছু ভুল বলে থাকি, আমি জোরহাত করে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আপনারাই ভগবান, আপনারাই আল্লা। যাঁরা গ্রামীণ ডাক্তার, হোমিওপ্যাথি ডাক্তার – আপনারা সবাই মিলে এই ভোটটা করিয়ে দেবেন।” তবে কি ডাক্তারদের খেলার নির্দেশ দিলেন? এই প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্য, ”ওরা ইনজেকশন দেবে, ওষুধ দেবে, ব্যস্ত থাকবে। খেলা তো খেলবে অন্যরা। ভোটের দিন বড় খেলা হবে।”
[আরও পড়ুন: ‘বিরোধীদের ফোনে আড়ি পাতছে সিআইডি’, ডানকুনির সভা থেকে বিস্ফোরক শুভেন্দু]
ভোট ঘোষণার পর থেকে নজরবন্দি, আর ভোটের সময় অনুব্রত মণ্ডলকে যদি নির্বাচন কমিশন ঘরবন্দি করে দেয়, তাহলে? এই প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের সাফ জবাব, ”আমি চোর না ডাকাত যে আমাকে ঘরবন্দি করবে? যত আইন ওরা জানে, সব আইন ওই দাড়িওয়ালার কাছে আছে। আমাদের কাছে কিছু নেই।” রাজ্যে এত দফায় ভোট কেন? প্রশ্নের জবাবে অনুব্রত বলছেন, ”পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্র, ২৯৪ দফায় ভোট হোক, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। কিন্তু অমানবিক বেনোজির সিদ্ধান্ত কমিশনের। এই গরমে কেন্দ্র বাহিনীও আমার না হয় কারো না কারো বাড়ির ছেলে, ভাই, দাদা। কাঠফাটা গরমে তারা কষ্ট পাবে। তাই অষ্টম দফায় নির্বাচন ঠিক নয়।”