সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টলিপাড়ার প্রিয় অপাদি ওরফে অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। যাঁর লক্ষ্মীপুজো খুবই জনপ্রিয় অনুরাগীদের মধ্য়ে। সুন্দর শাড়ি, গয়না এবং বিশেষ করে নাকে নথ পরে একেবারে যেন লক্ষ্মী প্রতিমার মতো সেজে প্রতিবারই বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো সারেন লক্ষ্মী কাকিমা। সবাই জানেন, তাঁর বাড়ির লক্ষ্মী প্রতিমা, অপরাজিতা নিজে হাতেই বানিয়েছেন। আর লক্ষ্মীপুজোয় নিজের হাতেই সাজান তিনি। এবারও তেমনটিই করলেন। সাদা-লালের শাড়ি, মাথায় সোনালি মুকুট ও গয়নায় বাড়ির মেয়ের মতো লক্ষ্মীকে সাজালেন অপরাজিতা। তবে এবারের লক্ষ্মীপুজো বেশি ধুমধাম চাইছেন না অভিনেত্রী। বরং খুবই সাধারণভাবে মা লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে উঠবেন টলিউডের অপাদি।
প্রতিবছর ধুমধাম করে নিজের বেহালার বাসভবনে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো করেন অপরাজিতা আঢ্য। তবে এবারের পুজোর মরশুমে মনখারাপ অভিনেত্রীর। তাই তো এবার মণ্ডপে গিয়ে ঢাক বাজাননি কিংবা পাড়ার মহিলাদের সঙ্গে সিঁদুর খেলাতেও মেতে উঠতে দেখা যায়নি অভিনেত্রীকে। শুধু তাই নয়, দশমীর দিনই বিজয়ার শুভেচ্ছা জানানোর পর সাফ জানিয়ে দিলেন, যে মর্তে রক্তমাংসের লক্ষ্মীদের এত অবমাননা, সেখানে এবার কোজাগরীতে কোনওরকম বিশেষ উদযাপন তিনি করবেন না। নমো নমো করেই লক্ষ্মীপুজো সারবেন অপরাজিতা।
প্রতিবার অপরাজিতা আঢ্যর বাড়ির লক্ষ্মীপুজোয় পাত পেড়ে ভোগ খাওয়ানো হয়। অভিনেত্রী নিজে হাতে প্রতিমা সাজান। ভোগ রাঁধার পুরোভাগে থাকেন। এবারের কোজাগরীতে সবটাই হবে শুধু পুজোর নিয়মমাফিক। তবে আড়ম্বর কিংবা বিশেষ আয়োজনে তিনি নেই। রবিবার সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সাফ জানিয়ে দিলেন অপরাজিত। এদিকে বেহালা জাগরণীর পুজো মানেই অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya)। অভিনেত্রীর পাড়ার পুজো। তাই সেই পুজোর সঙ্গে গোড়া থেকেই শামিল থাকেন অপরাজিতা। অষ্টমীর অঞ্জলি থেকে, ভোগ খাওয়া, সিঁদুর খেলা, পাড়ার পুজোতেই চারদিন মহাসমারোহে কেটে যায় তাঁর। তবে এবারের পুজোটা অন্যরকম ভাবে কাটালেন দর্শক-অনুরাগীদের প্রিয় ‘অপাদি’।
সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় অপরাজিতা লিখলেন, ''কোজাগড়ি লক্ষ্মী পুজোর ফটফটে পূর্ণিমা রাতে লক্ষ্মী দেবী মর্ত্য লোকে অবতরণ করে ঘরে ঘরে যান । জিজ্ঞেস করেন, “কে জাগো? “ যে জেগে থাকে তার ঘর বৈভবে পূর্ণ করে চলে যান লক্ষ্মী দেবী ।। এই বৈভব প্রকৃত অর্থেই যে মননের বৈভব, আর এই জাগরণ যে চেতনার নবজাগরণ তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না ।।
কিন্তু এমন এক সময়ের সম্মুখীন আমরা যখন আমাদের ঘরের লক্ষ্মীরা দেবীপক্ষের অনেক আগে থেকেই আত্মপক্ষের লড়াই বুকে বেঁধেছে, প্রতি রাতে রাজপথে রাজপথে প্রশ্ন চিহ্ন রেখেছে, “কার চেতনা জাগ্রত? কে আছো এই নবজাগরণের লড়াই মাথায় ধারণ করবে?”
সকলেই জানেন, বিশেষত আমার মিডিয়া বন্ধুরা খুব ভালো করেই জানেন যে কোজাগড়ি পুজোর এই বিশেষ দিনে আমি, অপরাজিতা, বিশেষ উদযাপনের ব্যবস্থা করি প্রতি বছরে।। কিন্তু এই বছরটা উদযাপন থাকছে না । যে সময়ে রক্ত মাংসের লক্ষ্মীদের এত অবমাননা প্রতিনিয়ত, সেই সময়ে উপাসনা থাকলেও লক্ষ্মী দেবীর পূজা উদযাপন খানিকটা নিরর্থক থেকে । তাই অনেক ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিলাম, মিডিয়া বন্ধুদের যদি পুজোর ছবি ও ভিডিও প্রয়োজন হয়, আমার গণমাধ্যম দল বিশেষ ভাবে আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নেবে । লক্ষ্মী দেবী সকলকে চেতনার বৈভব প্রদান করুন, এই কামনা করি।।''