সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শত্রুকে ঘায়েল করতে পরমাণু বোমা ব্রহ্মস (BrahMos) মিসাইল কতটা শক্তিশালী, তার একদফা পরীক্ষা হয়ে গিয়েছিল গত মাসে। তবে চূড়ান্তভাবে তা পরখ করে নিতে এবার আসরে নামছে দেশের তিন বাহিনী। জানা গিয়েছে, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভারত মহাসাগরের (Indian Ocean) এর উৎক্ষেপণ করা হবে। শুধু তাইই নয়, নানা পাল্লায় এর একাধিক পরীক্ষা হবে। স্থলসেনা, জলসেনা এবং বায়ুসেনা বাহিনীর হাতেই চূড়ান্ত পরীক্ষা হয়ে যাবে দেশের ভাণ্ডারে থাকা শক্তিশালী অস্ত্রটির।
গত মাসের ১৮ তারিখ। DRDO জানায়, আরব সাগরে ভারতীয় নৌসেনার অত্যাধুনিক রণতরী বা স্টেলথ ডেস্ট্রয়ার আইএনএস চেন্নাই (INS Chennai) থেকে নিখুঁতভাবে লক্ষ্যে আঘাত করে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রটি। লক্ষ্যে আঘাত হানার আগে একাধিক জটিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ক্ষেপণাস্ত্রটি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শত্রুর এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের চোখে ধুলো দেওয়া। তারও আগে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয়েছে। ফলে দেশের অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে অনেকটাই।
[আরও পড়ুন: বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদতের অভিযোগ! কাশ্মীরের ৩৩ জন নেতার বিদেশ যাত্রায় জারি নিষেধাজ্ঞা]
জুন মাসে ভারত-চিন সীমান্তে লাদাখে (Ladakh) চিন সেনার অযাচিত হামলার পর থেকেই অস্ত্রভাণ্ডার আরও শক্তিশালী করতে তৎপর ভারত। ওদিকের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখার জন্য উত্তর-পূর্বের সেনাবাহিনীর স্কোয়াড্রনে ইতিমধ্যেই ঠাঁই পেয়েছে ব্রহ্মস। ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে ব্রহ্মস তৈরি করে ফেলার পর গোটা বিশ্বের সমর বিশারদদের নজর কেড়ে নিয়েছে এই ক্রুজ মিসাইল। আমেরিকার টোমাহকের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯০ কিলোমিটার। ভারত-রাশিয়ার ব্রহ্মসের বেগ তার চার গুণ। ব্রহ্মস ঘণ্টায় ৩৭০০ কিলোমিটার বেগে ছুটে গিয়ে আঘাত হানে লক্ষ্যবস্তুতে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের নিশানাও নিখুঁত।