সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার। পাইলট ও সহকারী পাইলটের খোঁজে শুরু হয়েছে অভিযান। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে দ্রুত তদন্ত শুরু হয়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর।
[আরও পড়ুন: ‘তিন মাসে ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছি, যা বড় সাফল্য’, গোয়ার ফলাফলে প্রতিক্রিয়া অভিষেকের]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরে কাশ্মীরের বান্দিপোরা এলাকায় ভেঙে পড়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি চিতা হেলিকপ্টার। জানা গিয়েছে, গুরেজ সেক্টরের বারাউম এলকায় চপারটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। ভেঙে পড়ার আগেই নাকি যানটির চালক ও সহকারী চালক সেটি থেকে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হন। তাঁদের খোঁজে দ্রুত উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে হিমালয়ের বুকে বরফে ঢাকা ওই এলাকায় উদ্ধারকারী দলকে যথেষ্ট কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা।
উল্লেখ্য, কয়েক দশক ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে রয়েছে চিতা হেলিকপ্টার। একাধিকবার ওই চপারগুলির জয়গায় নতুন হেলিকপ্টার আনার দাবি জানিয়েছে সেনা। সেই মর্মে রাশিয়ার সঙ্গে কামোভ চপার কেনার আলোচনাও চলছে। যানটির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আগেও একাধিকবার দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে চিতা।
প্রসঙ্গত, ৮ ডিসেম্বর, ২০২১। নীলগিরি পর্বতমালার বুকে আছড়ে পড়ে ফৌজের একটি অত্যাধুনিক এমআই-১৭ হেলিকপ্টার। মৃত্যু হয় ভারতের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াত-সহ ১৩ জনের। সপ্তাহখানেক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষে হার মানেন অভিশপ্ত চপারটির চালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং। তারপরই উঠতে শুরু করে একের পর এক প্রশ্ন। সংসদে সরকার জানায়, বিগত পাঁচ বছরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে ১৫টি সামরিক হেলিকপ্টার। তারমধ্যে রয়েছে চারটি এমআই-১৭ চপার। পাঁচ বছরে মোট ১৫টি চপার দুর্ঘটনায় ৩১জনের মৃত্যু হয়েছে। এমআই-১৭ ছাড়াও বিগত দিনে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ৬টি অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার, ৪টি চিতা ও একটি চেতক হেলিকপ্টার।