সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন আদালত তথা আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে। তিনি একা নন, পরোয়ানা জারি হয়েছে সেদেশের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধেও। যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে দুই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে? আইসিসি জানিয়েছে, মানবতার বিরোধী অপরাধ যথা খুন, নিপীড়ন এবং অমানবিক নানা অপরাধ করেছেন নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট। পাশাপাশি যুদ্ধের এক 'অস্ত্র' হিসাবে অনাহারকে ব্যবহার করার অভিযোগও রয়েছে। গাজায় খাদ্য, জল ও ওষুধের মতো অত্যাবশকীয় বস্তুর সরবরাহ আটকে দিয়ে বিপুল সংকট ও মৃত্যুর পরিস্থিতি তৈরি করার অভিযোগেও বিদ্ধ নেতানিয়াহু-গ্যালান্ট। নিহতদের মধ্যে বহু শিশুও রয়েছে।
উল্লেখ্য, অভিযান শুরু করার পর থেকে ইহুদি দেশটির সেনার অভিযোগ ছিল, গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল, শরণার্থী শিবির, স্কুল, ধর্মীয় স্থানে লুকিয়ে রয়েছে হামাস জঙ্গিরা। সেখান থেকেই তারা নানা সন্ত্রাসী কাজকর্ম করছে, সেনার উপর হামলা চালাচ্ছে। ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে এই অভিযোগের সাপেক্ষে যুক্তিও দেয় ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। নেতানিয়াহুর দেশের অভিযানে গাজায় মৃতের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে গিয়েছে। এই এক বছরে কার্যত ভেঙে গিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য পরিষেবাও। হাসপাতালগুলোয় উপচে পড়ছে মৃতদেহ। যুদ্ধের বলি ছোট ছোট নিষ্পাপ শিশুরাও। সর্বত্রই এখন শুধু ধবংসের চিহ্ন আর স্বজনহারা কান্না। দেখা দিয়েছে ওষুধের আকাল। এই সংঘাত থামানো নিয়ে প্রতিনিয়ত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে মিশর, কাতার, সৌদি আরবের মতো দেশ। কিন্তু লক্ষ্যে অবিচল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার গাজায় পা রেখে তিনি দাবি করেন, যুদ্ধ একবার শেষ হলে পুরোপুরি হামাসমুক্ত হবে গাজা। সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, আর বেশি দেরি নেই। ইজরায়েলি সেনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে হামাসের মেরুদণ্ড। এর মধ্যেই জারি হল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।