সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেলবন্দি হলেও বেনজির ভাবে গরাদের ওপার থেকে দিব্যি সরকার চালিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। গত রবিবার দিল্লির জল পরিষেবা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠি লিখেছিলেন মন্ত্রী অতিশীকে। এবার রাজধানীর স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজকে (Saurabh Bharadwaj) একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। অবশ্য জেলের মধ্যে থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এইসব বার্তাকে পুরোপুরি ‘ভাঁওতা’ বলে দাবি করেছে বিজেপি। একই সঙ্গে তাঁর ইস্তফার দাবিও জানিয়েছে।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে সরকার পরিচালনায় কেজরিওয়ালের দ্বিতীয় নির্দেশিকা পড়ে শোনান স্বাস্থ্যমন্ত্রী (Health Minister) সৌরভ ভরদ্বাজ। তিনি বলেন, “জেলবন্দি থাকলেও দিল্লির মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister)। আমাকে দিল্লির মহল্লা ক্লিনিকের সমস্যা সমাধানের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দিল্লির কিছু হাসপাতালে ও মহল্লা ক্লিনিকে বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও আবার ওষুধ অমিল। দিল্লির লক্ষাধিক গরিব মানুষ চিকিৎসার জন্য এই মহল্লা ক্লিনিকের উপর নির্ভরশীল। তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তা দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।”
[আরও পড়ুন: ৪০০ পারের স্বপ্নে ধাক্কা! জোটে ফিরল না অকালি দল, পাঞ্জাবে বিজেপির একলা চলো]
একইসঙ্গে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর আদেশ আমার কাছে ঈশ্বরের আদেশের মতো। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আমরা সেই আদেশ পালন করব।” যদিও জেল থেকে কেজরির এই নির্দেশকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের নেতা হরিশ খুরানা বলেন, “জেলে থেকে নাটক করছেন উনি। এগুলি ভাঁওতা ছাড়া কিছুই নয়। হঠাৎ দিল্লির মানুষের জন্য উনি ওনার আবেগ দেখাচ্ছেন। আসলে উনি চাইছেন ভোটের আগে জেল থেকে মানুষের সহানুভূতি আদায় করতে।”
[আরও পড়ুন: উর্মিলাকে ‘পর্নস্টার’ বলেছিলেন কঙ্গনা! পুরনো ভিডিও শেয়ার করে তোপ কংগ্রেস নেতার]
গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজত হয়েছে তাঁর। তবে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা তো দূরের কথা হাজতে থেকেই সরকার চালানোর ঘোষণা করেছেন কেজরিওয়াল। এই পরিস্থিতিতে গত ২৩ মার্চ জেল থেকেই জল দপ্তরের মন্ত্রী অতিশীকে রাজধানীর জল পরিষেবা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিক বৈঠক করে সেকথা অতিশী জানানোর পর বিস্ময় প্রকাশ করেছিল ইডি। সেক্ষেত্রে কেজরির স্ত্রী সুনীতাকে সন্দেহ করে তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফে। কারণ ঘটনার আগের দিন ইডি অফিসে এসেছিলেন তিনি। বের হওয়ার সময় তাঁর হাতে কিছু কাগজপত্রও দেখা যায়। এর পর জেলের মধ্য থেকে সরকার পরিচালনায় দ্বিতীয় নির্দেশ দিলেন কেজরিওয়াল।