সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিএএ আসলে ‘ভোট ব্যাঙ্কের খেলা’। এর ফলে বহিরাগতরা এসে দেশের নাগরিকদের চাকরিতে ভাগ বসাবে। এভাবেই বুধবাসরীয় সকালে বিজেপিকে আক্রমণ করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। এবার তাঁকে পালটা দিল বিজেপি।
ঠিক কী বলেছিলেন কেজরিওয়াল? তাঁকে এক ভিডিওয় বলতে শোনা গিয়েছে, ”পাকিস্তানি (Pakistan) ও বাংলাদেশিদের জন্য ভারতের দরজা খুলে দিল বিজেপি। এটা দেশের জন্য বিপজ্জনক। উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলি, বিশেষত অসমকে এর মূল্য চোকাতে হবে। বাংলাদেশের অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের জন্য অসম বিপন্ন। বিজেপি সেই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্ব দিতে চায়। সরকারের টাকা ব্যবহৃত হবে ভারতে পাক নাগরিকদের থিতু করার কাজে। কে এই সব অনুপ্রবেশকারীদের চাকরি দেবে? অনেকেই বলছে এটা ভোটব্যাঙ্কের খেলা।”
[আরও পড়ুন: ১০০ দিনের টাকা থেকে কাটমানি! অভিযুক্ত উপপ্রধানের স্বামী]
কেজরিওয়ালের এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের বর্ষীয়ান নেতা রবিশংকর প্রসাদ কেজরিওয়ালের উদ্দেশে বলেন, ”আজ কেজরিওয়ালের অদ্ভুত বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে সিএএ-র ফলে বহিরাগতরা চাকরিতে ভাগ বসাবে। এটা কীরকম অযৌক্তিক কথা? যাঁরা ভারতে আসবেন তাঁরা নিজেদের দেশে নিপীড়নের শিকার… তাঁদের নাগরিকত্বের সুরক্ষা দেওয়া ভারতের নৈতিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব নয় কি?”
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের (Lok Sabha 2024) আগেই চালু হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)। তার পর থেকে জাঁকিয়ে বসছে আতঙ্ক। বিবৃতি জারি করে অমিত শাহের মন্ত্রক জানিয়েছে, CAA কারোর নাগরিকত্ব কাড়ার আইন নয়। এর প্রভাব ১৮ কোটি ভারতীয় মুসলিমের উপর পড়বে না। ভারতীয় হিন্দুদের মতোই সমস্ত অধিকার বজায় থাকবে তাদেরও। নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য কোনও নথিও তাদের দিতে হবে না। পাশাপাশি, এই আইন বিভাজনমূলক বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেই অভিযোগকেও অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।