শেখর চন্দ্র, আসানসোল: গরু পাচার কাণ্ডে জেল হেফাজতে থাকা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা। ভারচুয়ালি দাপুটে তৃণমূল নেতার শুনানির আবেদন। এই মর্মে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর কাছে চিঠি পাঠালেন আসানসোল জেলের সুপার কৃপাময় নন্দী।
জেল সুপারের দাবি, আগামী শুনানিতে ভিডিও কনফারেন্সিং অর্থাৎ ভারচুয়ালি হাজিরা দিন অনুব্রত। সশরীরে তাঁকে শুনানিতে আদালতে হাজিরার ক্ষেত্রে অযথা বিশৃঙ্খলা তৈরির আশঙ্কা করছেন আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারের সুপার। উল্লেখ্য, এর আগে অনুব্রতকে বেশ কয়েকবার আদালতে পেশ করা হয়েছে। আঁটসাঁট নিরাপত্তার চাদরে আদালত মুড়ে ফেলা হয়েছে ঠিকই। তবে তা সত্ত্বেও বারবার তাঁকে লক্ষ্য করে ‘গরু চোর’ স্লোগান দিতে শোনা গিয়েছে। সেই বিশৃঙ্খলা যাতে আর না হয়, সে কারণেই জেল সুপার অনুব্রতর ভারচুয়াল শুনানির দাবি জানিয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বিস্ফোরণে রক্তাক্ত আফগানিস্তান, তালিবানপন্থী ধর্মগুরু-সহ নিহত অন্তত ১৮]
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেল হেফাজতে থাকা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও ভারচুয়ালি আদালতে পেশ করা হয়। যদিও ভারচুয়াল হাজিরায় আপত্তি জানান পার্থ ও অর্পিতার আইনজীবীরা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, ভারচুয়ালি হাজিরা মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়। পরেরবার যাতে মক্কেলকে সশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়, বিচারকের কাছে সেই দাবি জানিয়েছিলেন অর্পিতার আইনজীবী। যদিও নিরাপত্তার স্বার্থে সেই দাবি আদালতে খারিজ হয়ে যায়। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ফের ভারচুয়ালি আদালতে পেশ করা হবে ‘অপা’কে।
উল্লেখ্য, গত ১১ আগস্ট বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার হন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর প্রয়াত স্ত্রী এবং মেয়ের নামে এখনও পর্যন্ত বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের নজরে বোলপুরের অন্তত ১০টি রাইস মিল। এর মধ্যে দু’টি রাইস মিলে তল্লাশিও চালিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। বিপুল সম্পত্তির উৎসের খোঁজে তদন্তকারীরা।