গোবিন্দ রায়: আসানসোলে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় আপাতত স্বস্তিতে আয়োজক চৈতালি তিওয়ারি। হাই কোর্ট (Calcutta HC) থেকে তিনি রক্ষাকবচ পেলেন তিন সপ্তাহের জন্য। এর মধ্যে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারবেন চৈতালি। এমনই জানিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তবে ঘটনার তদন্তে (Investigation) চৈতালিদেবীকে সহযোগিতা করতেই হবে বলেও বিচারপতি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে এই সংক্রান্ত শুনানিতে চৈতালির আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন, ”এই ঘটনা দুঃখজনক। কিন্তু ৩০৪ পার্ট টু ধারায় নোটিস দেওয়া হল কীভাবে? এফআইআরে লেখা হয়, ছোট জায়গায় আয়োজনের জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।” বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, ”তদন্ত না করার নির্দেশই বা কীভাবে চাইতে পারেন? এফআইআর (FIR)যিনি করেছেন, তিনি ছিলেন না। তদন্ত চলতে দিতে হবে। নোটিসের উপর স্থগিতাদেশ কেন দেওয়া হবে? সঠিক বেঞ্চে যান।”
[আরও পড়ুন: ইডির হয়ে সাফাই দিতে গিয়ে অর্পিতাকে ‘মন্ত্রী’ বানালেন নির্মলা! রাজ্যসভায় বিতর্ক]
চৈতালি তিওয়ারির বিরুদ্ধে নোটিস খারিজ মামলা আদৌ কি গ্রহণযোগ্য? এই প্রশ্ন তোলা হয়েছে হাই কোর্টে। এও জানানো হয়, মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত বন্ধ করা যাবে না। পুলিশ দু’দিন জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে চৈতালিকে। তবে তিন সপ্তাহের রক্ষাকবচও দেওয়া হয়েছে জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari) স্ত্রীকে। এদিকে, মঙ্গলবারের পর ফের বৃহস্পতিবার চৈতালি তিওয়ারির বাড়িতে যায় পুলিশ। তাঁকে বাড়িতে না পেয়ে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে পুলিশ আবার থানায় ফিরে যায়। গত মঙ্গলবার পুলিশ এসেছিল চৈতালির বাড়িতে। তখন একটি পুলিশ নোটিস দিয়ে জানায়, বৃহস্পতিবার যেন চৈতালি বাড়িতে থাকেন। পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। সেইমতো এদিন তাঁর বাড়িতে পুলিশ যায়, কিন্তু বাড়িতে তালা বন্ধ দেখে ফিরে যায়।
[আরও পড়ুন: SSC Scam: মিলল না জামিন, বড়দিনও জেলেই কাটবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সুবীরেশ ভট্টাচার্যদের]
গত ১৪ তারিখ আসানসোলের ‘শিবচর্চা’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি কম্বল বিলি করে চলে যাওয়ার পরই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় জমায়েত জনতার মধ্যে। তাতে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়। পরে মৃত ঝালি বাউড়ির ছেলে অনুষ্ঠানের আয়োজক বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি ও তাঁর স্বামী জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই চৈতালিদেবীর বিরুদ্ধে মামলা চলছে।