রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: সরকারি সিলমোহর এখনও পড়েনি। তবে সব কিছু ঠিকঠাক চললে, পাকিস্তান প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেলের দিকেই এগোচ্ছে আসন্ন এশিয়া কাপ। আপাতত চর্চার বিষয় হল যে, এশিয়া কাপের দ্বিতীয় কেন্দ্র কোনটা হবে? সংযুক্ত আরব আমিরশাহী নাকি শ্রীলঙ্কা? নাকি আরও চমক দিয়ে কাঠমান্ডু?
এখানে বলে রাখা যাক, আসন্ন এশিয়া কাপ হওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানে। কিন্তু ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয় যে, পাকিস্তানে গিয়ে খেলবে না ভারত। বরং নিরপেক্ষ কেন্দ্রে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে। পাকিস্তান যার পালটা হিসেবে প্রথম ‘হাইব্রিড’ মডেল পেশ করে। বলে যে, পাকিস্তানের ম্যাচ দেওয়া হোক পাকিস্তানে। ভারত (Team India) খেলুক নিরপেক্ষ কেন্দ্রে। কিন্তু সেটাও খারিজ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ‘হাইব্রিড’ মডেল পেশ করে পাকিস্তান। পাক ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, টুর্নামেন্টের চারটে থেকে ছ’টা ম্যাচ হোক পাকিস্তানে। বাকিটা হোক সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। পাক বোর্ড থেকে এটাও বলে দেওয়া হয় যে, তাদের এই মডেলও খারিজ হয়ে গেলে তারা এশিয়া কাপ থেকে সরে দাঁড়াবে। এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিল (ACC) থেকেও বেরিয়ে যাবে!
[আরও পড়ুন: সৌরভের বাড়িতে দুই প্রযোজক! কবে শুরু বায়োপিকের শুটিং? ‘দাদা’র ভূমিকায় কে?]
প্রসঙ্গত, এশিয়া কাপের (Asia Cup 2023) মুনাফার প্রায় ৮০ শতাংশ আসে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। আইপিএল ফাইনাল উপলক্ষে ভারতীয় বোর্ড কর্তারা এই মুহূর্তে আহমেদাবাদে। পাকিস্তান বাদে বাকি এশীয় দেশের কর্তারাও রয়েছেন আহমেদাবাদে। ২৭ মে ভারতীয় বোর্ডের বিশেষ সাধারণ সভা। যেখানে এশিয়া কাপ নিয়ে একটা চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি হয়ে যেতে পারে। শোনা গেল, পাকিস্তানের দ্বিতীয় ‘হাইব্রিড মডেল’ নাকি মোটামুটি পাশ। দারুণ কোনও পট পরিবর্তন না ঘটলে সেটা থাকবে। আলোচ্য হল, দ্বিতীয় কেন্দ্র? সেটা আরব আমিরশাহী হবে নাকি শ্রীলঙ্কা?
পাকিস্তান চায় আরব আমিরশাহী। ভারতের পছন্দ নাকি আবার শ্রীলঙ্কা। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এশিয়া কাপ করার ভাবনা রয়েছে। অনেকেরই বক্তব্য, সেই সময় প্রচণ্ড গরম থাকে আরব আমিরশাহীতে। ক্রিকেটাররা খেলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। চোট পেয়ে যেতে পারেন। পাকিস্তান আবার পালটা বক্তব্য পেশ করছে যে, অতীতে সেপ্টেম্বর মাসে পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচ হয়েছে আরব আমিরশাহীতে। তবে অনেকেই মনে করছেন, আমিরশাহী নিয়ে হয়তো তেমন জোরাজুরি করবে না পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কাকে যদি দ্বিতীয় কেন্দ্র হিসেবে ভাবা হয়, তাহলে হয়তো তারা মেনে নেবে। যদি শেষ পর্যন্ত তাদের দ্বিতীয় ‘হাইব্রিড’ মডেল পাশ হয়ে যায়। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী হয়?