সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিতর্কে ‘বাংলা পক্ষ’-এর প্রতিষ্ঠাতা গর্গ চট্টোপাধ্যায়। এবার অহম সম্রাটকে অপমান করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোওয়াল।
[আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে করোনা আক্রান্তের ফোন চুরির ফল, কোয়ারেন্টাইনে যুবক]
জানা গিয়েছে, অসমে অহম সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট চাউলুং চুকাফাকে চিনা হানাদার বলে দাবি করে একাধিক টুইট করেন গর্গ। আর এতেই চটে লাল মুখ্যমন্ত্রী সনোওয়াল। এই মর্মে শুক্রবারই গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনারকে কলকাতায় গিয়ে গর্গকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছে তিনি। বৃহস্পতিবার ‘বাংলা পক্ষ’-এর প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে ডিব্রুগড় থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেন স্থানীয় বাসিন্দা ভাস্কর গগৈ।
অহম সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতিবছর ২ ডিসেম্বর চুকাফ দিবস বা অসম দিবস পালন করা হয় উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে। সেই অনুষ্ঠান নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোওয়ালের বিরুদ্ধেও টুইটারে তোপ দাগেন গর্গ চট্টোপাধ্যায়। যদিও বিতর্কের জেরে পরে টুইটগুলি মুছে ফেলেন তিনি। কিন্তু তাতেও থামেনি সমালোচনা। গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার দাবি জোরদার হয়েছে অসমে। উল্লেখ্য, অসমে চুকাফা জাতির নায়ক। ফলে তাঁকে অপমান করে সমস্ত অসমবাসীকে অপমান করেছেন বাংলা পক্ষের প্রতিষ্ঠাতা বলেই অভিযোগ অনেকের। অসমের বাঙালিদের একাংশের অভিযোগ, অহম রাজাদের নিরুদ্ধে এহেন কুৎসা রটিয়ে সংঘাত উসকে দিচ্ছেন গর্গ। এমনিতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন-সহ একাধিক ইস্যুতে অসমীয়া-বাঙালি দ্বন্দ্ব ক্রমে বাড়ছে, তার উপর এহেন মন্তব্য পরিবেশ আরও জটিল করে তুলবে।
ইতিহাসবিদদের মতে, ১২২৮ থেকে ১৮২৬ সাল পর্যন্ত অসমে রাজত্ব করেন অহম রাজারা। অনেকেই মনে করেন, মায়ানমার লাগোয়া পাটকাই পর্বতমালা পার করে অসমে পৌঁছান চাউলুং চুকাফা। অহমরা মূলত থাইল্যান্ডের অধিবাসী ছিলেন। সেখান থেকে অসমে পাড়ি দিয়ে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেন তাঁরা। লড়াকু এই জাতটি অসমে ‘মান’ বা বার্মিজদের আক্রমণ রুখে দেয়। শুধু তাই নয়, শরাইঘাটের বিখ্যাত যুদ্ধে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের পাঠানো ফৌজকে পরাজিত করেন অহম সেনার প্রধান সেনাপতি লাচিত বরফুকন।
[আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে করোনা আক্রান্তের ফোন চুরির ফল, কোয়ারেন্টাইনে যুবক]
The post অহম সম্রাটকে অপমান, গর্গ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তারের নির্দেশ অসমের মুখ্যমন্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.