সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গরুচোর (Cattle Thief) সন্দেহে ফের গণপিটুনির ঘটনা ঘটল দেশে। তার জেরে মৃত্যু হল ৩৪ বছর বয়সি এক ব্যক্তির। গত শনিবার অমানবিক ঘটনাটি ঘটে আপার অসমের (Assam) তিনসুকিয়া জেলার কোরজোঙ্গা গ্রামে। মৃতের নাম শরৎ মোরন। খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই গোটা দেশে এই নিয়ে তীব্র আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমে ১২ জনকে আটকও করেছে পুলিশ। মামলাও রুজু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, করদই গ্রামের বাসিন্দা শরৎ মোরন গিয়েছিলেন কোরজোঙ্গা গ্রামে এক বন্ধুর বাড়িতে৷ সেখানেই গণপিটুনির শিকার হন তিনি৷ গরু চোর সন্দেহে স্থানীয়রা তাঁকে বিবস্ত্র করে প্রথমে গ্রামে ঘোরায়৷ তারপর চলে কিল, ঘুষি এবং মারধর৷ এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী৷ কোনওমতে শরৎ মোরানকে উদ্ধার করে দুমদুমার স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়৷
[আরও পড়ুন: নাবালিকাদের যৌন হেনস্তার অভিযোগ স্বঘোষিত ধর্মগুরু শিবশংকর বাবার বিরুদ্ধে, দায়ের মামলা]
এই প্রসঙ্গে এসপি দেবজিৎ দেওরি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে। প্রাথমিক ভাবে শরৎ মোরনের শরীরে একাধিক কাটা দাগ এবং আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ আরও স্পষ্ট হবে। তাই ওই রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ। দেওরি আরও জানান, মৃত শরতের কাকুর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩০২ ও ৩০৪ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তি গরু চুরি করেছিলেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। এই প্রথম নয়, এর আগেও অসমে একাধিকবার গরুচোর সন্দেহে উত্তেজিত জনতার রোষের মুখে পড়তে হয়েছে অনেককে। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই গরু পাচার রুখতে কড়া পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।