shono
Advertisement

সরকারি মাদ্রাসা ও সংস্কৃত টোল বন্ধের প্রস্তাবে অনুমোদন অসম মন্ত্রিসভার

গত অক্টোবর মাসে এই বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
Posted: 06:26 PM Dec 14, 2020Updated: 06:45 PM Dec 14, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি টাকায় চলায় মাদ্রাসাগুলি বন্ধ করার বিষয়ে আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে ছিলেন অসমের শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। রাজ্যের মাদ্রাসা এডুকেশন বোর্ড তুলে দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেছিলেন। মাদ্রাসাগুলির পাশাপাশি সরকারি অর্থে পরিচালিত সংস্কৃত টোলগুলোকে বন্ধ করার প্রস্তাবে অনুমোদন দিল অসম মন্ত্রিসভা। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালের নেতৃত্বে হওয়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলা অসম বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে এই সংক্রান্ত বিলটি উত্থাপন করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

এপ্রসঙ্গে অসমের পরিষদীয় মন্ত্রী ও মুখপাত্র চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি (Chandra Mohan Patowary) জানান, রবিবার রাজ্যের সমস্ত সরকার পরিচালিত মাদ্রাসা ও সংস্কৃত টোলগুলি বন্ধ করার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল (Sarbananda Sonowal) -এর নেতৃত্বে হওয়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঠিক হয়েছে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে এই সংক্রান্ত বিলটি উত্থাপন করা হবে।

[আরও পড়ুন: নাচের অছিলায় জোর করে হাত ধরে টেনেছে বরের বন্ধুরা, প্রতিবাদে বিয়েই ভাঙলেন তরুণী ]

গত অক্টোবর মাসে রাজ্যে মোট ৬১০টি সরকার পরিচালিত মাদ্রাসা আছে বলে জানিয়েছিলেন অসমের শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এর জন্য প্রতিবছর রাজ্য সরকারের ২৬০ কোটি টাকা খরচ হয় বলেও উল্লেখ করেছিলেন। বলেছিলেন, রাজ্য মাদ্রাসা এডুকেশন বোর্ড তুলে দিয়ে সমস্ত মাদ্রাসাগুলিকে হাইস্কুলে রূপান্তরিত করা হবে। আর সমস্ত পড়ুয়াকে নতুন করে ভরতি নেওয়া হবে। পাশাপাশি সরকার পরিচালিত সংস্কৃত টোলগুলিকে তুলে দেওয়া হবে কুমার ভাস্কর বর্মা সংস্কৃত অ্যান্ড অ্যানিসেন্ট স্টাডিজ ইউনিভার্সিটির হাতে।

তবে তিনি তখনই বলেছিলেন, রাজ্যে বেসরকারি উদ্যোগে চলা মাদ্রাসা বন্ধ করা হবে না। বন্ধ হবে না টোলও। কিন্তু, সরকার কানাকড়ি দিয়েও তাদের সাহায্য করবে না। বরং এই মাদ্রাসা ও টোল চালানোর জন্য নির্দিষ্ট নিয়মাবলী আনা হবে। পড়ুয়াদের এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন তাদের বাবা-মা। আর তাদের সিদ্ধান্তের জেরে ‘প্রকৃত শিক্ষা’ থেকে বঞ্চিত হয় পড়ুয়ারা।

[আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠান খুলতেই হু হু করে বাড়ল করোনা সংক্রমণ, এক সপ্তাহের মধ্যে ফের বন্ধ IIT-মাদ্রাজ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement