সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি অনুষ্ঠানে রাজনীতির কথা তো আছেই। পাশাপাশি, নিজের দলের সরকারের প্রশংসা করতে গিয়ে অহেতুক প্রতিবেশী রাজ্যের দিকে আঙুল তুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। অনুপ্রবেশ ইস্যুতে মঙ্গলবার বাংলাকে খোঁচা দিয়েছেন তিনি। যদিও তাঁকে ছাড় দেয়নি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।
রাজ্যের মন্ত্রী ও সাংসদদের পালটা বাণে বিদ্ধ হতে হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও (Home Ministry)। তাঁর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে তৃণমূলের পালটা কটাক্ষ, অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোখার দায়িত্ব তো সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (BSF)। যারা কেন্দ্রের অধীন। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘ডাহা মিথ্যা’ বলছেন বলেও তৃণমূল দাবি করেছে। তাদের দাবি, অনুপ্রবেশ রুখতে কেন্দ্র ও কেন্দ্রীয় বিভিন্ন বাহিনীকে যথাযথ সাহায্য করে রাজ্য।
[আরও পড়ুন: Babul Supriyo: অবশেষে কাটল জট, বুধবার বিধায়ক হিসেবে শপথ নেবেন বাবুল সুপ্রিয়]
উল্লেখ্য, দু’দিনের অসম সফরে এসে একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নেন শাহ। অসম পুলিশের (Assam Police) হাতে তুলে দেন ‘প্রেসিডেন্টস কালার’। কর্মসূচির ফাঁকে তিনি অসমের বিজেপি (BJP) সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। জানান, অনুপ্রবেশ রুখতে দারুণ কাজ করছে অসম সরকার। সে প্রসঙ্গেই বাংলাকে আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর দাবি, অনুপ্রবেশ রুখতে কেন্দ্রের সঙ্গে বাংলা মোটেও সহযোগিতা করছে না। শাহ বলেন, “অনুপ্রবেশ সমস্যা রুখতে বদ্ধপরিকর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কিন্তু এ বিষয়ে বাংলার তরফে সহযোগিতা মিলছে না। অন্যদিকে, কেন্দ্রের পিছনে পাহাড়ের মতো অটল হয়ে দাঁড়িয়েছে অসম। সমস্যার মোকাবিলা করছে কড়া হাতে। তার ফলও পাচ্ছে। বেআইনি অনুপ্রবেশ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।” শাহর দাবি, সোমবার তিনি রাজ্যের মানকাছাড়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গিয়েছিলেন। সেখানে তথ্য পেয়েছেন, গত ছ’বছরে অনুপ্রবেশ অনেকটাই কমেছে। শীঘ্রই তা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে বলে শাহ দাবি করেন। অসম সরকার রাজ্যে গরু পাচারও বন্ধ করতে পেরেছে বলে শাহর দাবি।
[আরও পড়ুন: মাস্কের টুইটার কেনা রুখতে এবার আসরে বিল গেটস! জোট বাঁধছেন একাধিক ধনকুবেরের সঙ্গে]
এ বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলার শাসকদল। তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র তথা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের অভিযোগ, বিএসএফ (কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত) দায়িত্বে অবহেলা করে বলেই সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান ঘটছে। তিনি দাবি করেন, সাম্প্রতিক অতীতে চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজন বিএসএফ কর্তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “উনি কী বলে গেলেন মিথ্যার ঝুড়ি নিয়ে, সেসব বলে লাভ নেই। অনুপ্রবেশ-টনুপ্রবেশ নিয়ে পরে হবে। আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাশীপুর ইস্যুতে জবাব দিন।”