সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসমে গ্রেপ্তার দুই সন্ত্রাসবাদী। ধৃতদের মধ্যে একজন ইমামও রয়েছে বলে খবর। বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন ‘আনসারুল্লা বাংলা টিম’ তথা ‘আনসার বাংলা’-র সঙ্গে যুক্ত ধৃতরা বলে জানা গিয়েছে। এই গ্রেপ্তারির পর প্রশ্ন উঠছে, উত্তর-পূর্ব ভারতে কতটা শিকড় ছড়িয়েছে জেহাদি সংগঠনটি?
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সোমবার মুসাদিক হুসেন ও ইকরামুল ইসলাম নামের দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে অসম পুলিশ (Assam Police)। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মরিগাওঁ জেলার মইরাবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মুসাদিক হুসেন। নগাওঁ জেলা থেকে পাকড়াও করা হয় ইকরামুল ইসলামকে। সে আবার একজন ইমামও। মরিগাওঁয়ের পুলিশ সুপার অপর্ণা এন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন ‘আনসারুল্লা বাংলা টিম’ তথা ‘আনসার বাংলা’-র সঙ্গে ধৃতদের যোগ রয়েছে। রাজ্যে পরপর সন্ত্রাসবাদীদের গ্রেপ্তারিতে উদ্বেগ ছড়িয়েছে প্রতিরক্ষা মহলে। প্রশ্ন উঠছে, উত্তর-পূর্ব ভারতে কতটা শিকড় ছড়িয়েছে জেহাদি সংগঠনটি?
[আরও পড়ুন: দলিত নাবালিকাকে গণধর্ষণের পর গায়ে আগুন, যোগীরাজ্যে ধৃত ২ যুবক]
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই মইরাবাড়ি এলাকায় একটি মাদ্রাসা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় প্রশাসন। ওই মাদ্রাসাটির সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়দার (Al-Qaeda) যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। আল কায়দা যোগের অভিযোগে ক’দিন আগে পাঁচ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এপর্যন্ত জঙ্গিযোগের অভিযোগে তিনটি মাদ্রাসা ভাঙা হয়েছে। বলে রাখা ভাল, বাংলাদেশে অভিজিৎ রায়-সহ একাধিক মুক্তমনা ব্লগারের হত্যায় জড়িত এই সংগঠন। মূলত, ইরাক ও সিরিয়ায় সক্রিয় সুন্নি জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলাম বা আনসারুল্লা বাংলা টিম অল কায়দার শাখা সংগঠন।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে অসমে বাংলাদেশি জঙ্গি ঢুকেছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। যার পর থেকেই ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়েছে পড়শি রাজ্যে। এখনও অবধি ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই মাদ্রাসার ইমাম ও শিক্ষক। হিমন্ত বিশ্ব শর্মার দাবি, আজকের অসম জিহাদি কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। তিনি হুমকিও দিয়েছেন, কোনও মাদ্রাসার সঙ্গে সন্ত্রাসযোগ মিললে তা ভেঙে দেওয়া হবে।