সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনীতির মঞ্চেও যখন ধর্ম নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে শাসক ও বিরোধীপক্ষ, তখন গীতার বাণী সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজে ব্রতী হয়েছেন অসমের এক তাঁতশিল্পী। কাঁথার উপর সেলাই করে ইংরাজি ও সংস্কৃতি ভাষায় ভাগবৎ গীতা ফুটিয়ে তুলছেন তিনি। গত এক বছর ধরে এই কাজ করছেন হেমপ্রভা নামে ওই মহিলা তাঁতশিল্পী।
[শাড়িতেই আস্ত রামায়ণ, বিশ্বের দরবারে পুরস্কৃত বাংলার এই শিল্পী]
ধর্মগ্রন্থ বলা যাবে না। তবে হিন্দুদের কাছে গীতার গুরুত্ব অপরিসীম। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুনের রথের সারথী ছিলেন স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ। যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়ার পথে, জীবন দর্শন নিয়ে পাণ্ডবশ্রেষ্ঠকে নানা পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। সেই কথোপকথনই বিভিন্ন স্ত্রোত্রের আকার লিপিবদ্ধ করা আছে গীতায়। হিন্দু সমাজে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে গীতা দেওয়ার চল আছে। অনেকে আবার মৃতদেহের উপরও গীতা রাখেন। কিন্তু, আদিযুগে গীতা সংস্কৃতকে লেখা হয়েছিল। ভাষাগত সমস্যার কারণে অনেকেই গীতা পড়তে পারেন না। আর নিজের শিল্পের মাধ্যমে সেই সমস্যা দুর করার কাজে ব্রতী হয়েছেন অসমের তাঁতশিল্পী হেমপ্রভা। কীভাবে? গত এক বছর ধরে কাঁথার উপর সেলাই করে সংস্কৃত ও হিন্দিতে গীতার বাণী ফুটিয়ে তুলছেন তিনি। ইতিমধ্যেই সংস্কৃততে গীতার ৫০০টি শ্লোক ও ইংরাজিতে আস্ত একটি অধ্যায় বুনে ফেলেছেন হেমপ্রভা। তিনি বলেন, ‘প্রায় নয় মাসের চেষ্টায় কাপড়ের উপর গুণমালা সেলাই করেছিলাম। আমার কাজ গোটা রাজ্যে প্রশংসা পেয়েছিল। এখন আমি কাঁথার উপর হিন্দি ও ইংরাজিতে গীতা ফুটিয়ে তুলছি।’
হেমপ্রভার হাতে বোনা সেই সিল্কের কাঁথায় শংকরদেব গুণমালার সতেরোটি অনুচ্ছেদ ছিল। আর এবার কাঁথায় উপরে পুরো গীতাটাই ফুটিয়ে তুলতে চাইছেন তিনি। হেমপ্রভা চান, তাঁর শিল্পকর্ম মিউজিয়ামে সংরক্ষণ করা হোক। যাতে সকলে তা দেখতে পারে। ইতিমধ্যেই অসম সরকারের কাছে মিউজিয়াম তৈরি করার আরজি জানিয়েছেন তিনি।
[চিনা আগ্রাসন রুখতে ভারতের ‘বাজি’ পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন]
The post কাঁথায় গীতার বাণী, অভিনব শিল্পসৃষ্টিতে মগ্ন অসমের এই মহিলা তাঁতশিল্পী appeared first on Sangbad Pratidin.