সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুসলমান (Muslim) তরুণী। ধর্মের কথা মাথায় রেখে বোরখা পরাই নাকি দস্তুর। তরুণী অবশ্য পোশাক পরার ক্ষেত্রে নিজের স্বাচ্ছ্যন্দের উপরেই বেশি গুরুত্ব দেন। তাই বোরখার বদলে জিনস পরেছিলেন তিনি। আর ওই পোশাকে বাড়ির বাইরে বেরতেই রীতিমতো হেনস্তার শিকার তরুণী। অসমের বিশ্বনাথের ঘটনায় উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
ওই তরুণী হেনস্তার শিকার হন গত রবিবার। ঠিক কী হয়েছিল? ওইদন তরুণীর একটি হেডফোন কেনার প্রয়োজন ছিল। তাই এলাকারই বাসিন্দা নুরুল আমিনের দোকানে গিয়েছিলেন তিনি। বোরখা পরেননি। পরিবর্তে তাঁর পরনে ছিল জিনস (Jeans)। তা পরেই বেরিয়ে গিয়েছিলেন।
[আরও পড়ুন: ফের বিনামূল্যে রেশন পাঠানো বন্ধ করল কেন্দ্র, মোদিকে চিঠি ক্ষুব্ধ রেশন ডিলারদের]
তবে দোকানে ঢোকার মুখে হোঁচট খেলেন তরুণী। অভিযোগ, তাঁকে দোকানে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। কারণ জিজ্ঞাসা করতেই অবাক হয়ে যান তরুণী। দোকান মালিক তাঁকে সাফ জানিয়ে দেন জিনস পরে দোকানে ঢোকা যাবে না। বোরখা না পরায় তাঁর চরিত্র নিয়ে প্রশ্নও তোলা হয়। বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যান তরুণী। তাঁর বাবাকে গোটা বিষয়টি জানান। পুলিশের (Police) দ্বারস্থ হওয়ায় দোকান মালিকের ছেলে রফিকুল ইসলাম আসরে নামে। ওই যুবক তরুণী এবং তাঁর বাবাকে মারধর করে বলেও অভিযোগ। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দোকান মালিক এবং তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে।
যুগ বদলে গিয়েছে। লিঙ্গবৈষম্যের অন্ধকার কেটেছে অনেকটাই। নারী এবং পুরুষের সমানাধিকারেই বিশ্বাসী অনেকেই। তা সত্ত্বেও অসমের (Assam) বিশ্বনাথ ঘাটের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই পড়েছে শোরগোল। সত্যিই কি সমাজের প্রত্যেক স্তরে ঘুচেছে বৈষম্যের আঁধার, উঠছে প্রশ্ন।