সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনীতির ময়দানে আরও এক খেলোয়াড়। এবার বিজেপিতে যোগ দিলেন এটিকে মোহনবাগানের গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্য (Arindam Bhattacharya)। মঙ্গলবার হেস্টিংস অফিসে রাজ্য বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য এবং অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন অরিন্দম। তবে রাজনীতিতে নাম লেখালেও এখনই ফুটবলকে বিদায় জানানোর কোনও ইচ্ছে তাঁর নেই। যথারীতি এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan) জার্সি গায়ে চাপিয়ে এএফসি কাপে খেলতে চান তিনি।
কিন্তু রাজনীতি এবং খেলাধুলো দুটো একসঙ্গে বজায় রাখা কীভাবে সম্ভব? অরিন্দম বলছেন, তাঁর কোনও অসুবিধা হবে না। হয়তো সবসময় দলের প্রচারে তিনি থাকতে পারবেন না। তবে, যতটা সম্ভব রাজনীতিকে সময় দেবেন। এবং একইসঙ্গে খেলা চালিয়ে যাবেন। শীঘ্রই এএফসি কাপের (AFC Cup) প্রস্তুতি শুরু করবে সবুজ-মেরুন শিবির। আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে শুরু প্রস্তুতি শিবির। তার আগেই মোটামুটিভাবে প্রচারপর্ব মিটে যাবে। সুতরাং বিজেপির হয়ে প্রচারে অসুবিধা হবে না অরিন্দমের। তাই সবদিক ভেবেচিন্তেই রাজনীতির ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছেন এটিকে মোহনবাগানের গোলরক্ষক। যদিও তাঁর সাফ কথা, এখনই ১০০ শতাংশ রাজনীতিতে নেমে পড়তে চান না তিনি। আরও অন্তত ৫-৭ বছর খেলা চালিয়ে যেতে চান।
[আরও পড়ুন: সুখবর শোনালেন জোয়ালা গুট্টা, জানিয়ে দিলেন প্রেমিক বিশালের সঙ্গে বিয়ের দিনক্ষণ]
প্রশ্ন হল, কেরিয়ারের কার্যত মধ্যগগনে থাকাকালীন কেন রাজনীতিতে নামার সিদ্ধান্ত? এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অরিন্দম বলছেন, “এটা সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কারও সঙ্গে আলোচনা করে আমি রাজনীতিতে নামার সিদ্ধান্ত নিইনি। অমিত শাহের (Amit Shah) আমন্ত্রণেই বাংলায় পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছি। অনেক দিন ধরেই ওঁরা আমাকে ওঁদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য বলছিলেন। ওঁর অনুপ্রেরণাতেই আমার রাজনীতিতে আগমন।” প্রসঙ্গত, ভোটের বঙ্গে খেলোয়াড়দের ফিল্ড পরিবর্তন নতুন কিছু নয়। এর আগে বাংলার দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি এবং অশোক দিন্দা রাজনীতির ময়দানে এসেছেন। মনোজ তৃণমূলের হয়ে হাওড়ার শিবপুরে প্রার্থী হয়েছিলেন। অশোক দিন্দা ময়নায় প্রার্থী হন বিজেপির হয়ে। তবে, এঁরা কেউই অরিন্দমের মতো সক্রিয়ভাবে খেলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।